সামনে আসছে উৎসবের মরশুম। অনেকের কাছে আবার শুরুও হয়ে গেছে। এটা তো অনস্বীকার্য, যে শীতকাল মানেই উৎসবের মরশুম। শীতের শুরু হয় বিভিন্ন মেলা বা জলসা দিয়ে-মাঝে রয়েছে ক্রিসমাস, নিউ ইয়ার শেষ হয় পৌষ পার্ব্বণ তথা সরস্বতী পুজো দিয়ে। একথা তো সবাই মানবেন, যে এই যে এত সমস্ত ব্যাপার স্যাপার, এগুলোর জন্য কিন্তু আমাদের কোনো রকম এক্সট্রা ছুটি হয় না। তা সে বাড়ির গৃহবধূই বলুন বা অফিস কর্মী- ব্যবসায়ীই বলুন বা কোম্পানির সিইও। সকলের ক্ষেত্রেই এক কথা প্রযোজ্য। তাহলে আমাদের কি করণীয়?
আমাদের যেটা করতে হবে, তা হল টাইম ম্যানেজমেন্ট বা সময়ের যথাযথ ব্যবহার। এই কাজে প্রথমেই যেটা করতে হয়, তা হল- কোন কাজটা আগে আর কোন কাজটা পরে করব সেটা নির্ধারণ করে নিতে হবে প্রথমেই। তাহলে আর কোনো কাজই পড়ে থাকবেনা। আসুন একটু দেখে নিই কিভাবে সেটা সম্ভব।
নানা মনোবিদ বলে থাকেন, দিনের শুরুটা যদি আমরা ভোরবেলায় করি, তাহলে সারা দিন যথেষ্ট এনার্জেটিক থাকতে পারব এবং অনেক কাজ করতে পারব। ঘুম থেকে ওঠার সময় যত দেরি হয়, সূর্যের আলোও ততই কড়া হতে থাকে। শরীরের ত্বক ও মস্তিষ্ক কড়া আলোয় খানিক নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তাই ভোরে উঠলে আপনি সারা দিন ফ্রেশ থাকতে পারবেন। ঘুম থেকে ওঠার পর সেরে ফেলুন হালকা কিছু শরীর চর্চা। সারা দিনের কাজে কোনটা আপনার বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেই ব্যাপারকে মাথায় রেখে একটা লিস্ট করে ফেলুন। এই লিস্ট করার সময় যতটা সম্ভব কনসেনট্রেট করুন, পারলে একা থাকুন আর কাজের প্রয়োজনীয়তা বুঝে পর পর কাজ লিখে ফেলুন। আগের দিনের কোনো কাজ পড়ে থাকলে সেটাও সেরে ফেলার চেষ্টা করুন। বাড়িতে কোনো কাজ থাকলে সেটা সময় মতো আগেই সেরে ফেলুন। বাড়ির ছোটদের সকালেই বেশি সময় দিন, তাহলে তাদের দিনটাও ভালো কাটবে। দিনের শেষে তাদের জন্য সময় রাখলে ছোটরা বড়দের প্রতি আকৃষ্ট হয় না। সকালে আমাদের মন যেমন ভালো থাকে, তেমনি ছোটদেরও সকালেই ফ্রেশ থাকে মন-তখনই তাদের সময় দিন। ফোনের সব নোটিফিকেশন এই সময় বন্ধ রাখুন। কোনো কারনে অফিসের খুব জরুরি কোনো মেইল বা মেসেজ আসার থাকলে ফোন খোলা রাখুন, সেটা পেয়ে গেলে করণীয় কিছু থাকলে সেটা সেরে নিয়েই নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিন। এবারে আপনি দিনের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য তৈরী। এইভাবে নিজের দায়িত্ব সামলে নিয়ে ছুটি উপভোগ করুন চিন্তামুক্ত হয়ে। কাজেও যেমন থাকবেন ফিট, আনন্দ উদযাপনেও তেমনি হিট হয়ে যাবেন আপনি।