জীবনে সফল হতে গেলে ভালো থাকুন

আজকের ইঁদুর দৌড়ের যুগে আমাদের হাতে সময় খুবই কম। প্রত্যেকেই চাই জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে, বলা ভালো, বন্ধু তথা পরিচিত জনদের সামনে নিজেকে মেলে ধরতে। সেক্ষেত্রে নিজে যদি সকলের চেয়ে খানিক ওপরে থাকতে পারি, তাহলে তো কথাই নেই। এই লক্ষ্য নিয়ে জীবনে চলতে গিয়ে কখনো ভেবে দেখেছেন, কেউ এগিয়ে যায়, কেউ পিছিয়ে পড়ে কেন?

     কারন, অবশ্যই জীবনযাত্রার মান। আমরা যে যেভাবে জীবনকে দেখার চেষ্টা করব, জীবন আমাদের কাছে ঠিক তেমনিভাবেই ধরা দেবে। তাই অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায়, কেউ পড়াশুনোয় ছাত্রাবস্থায় ভালো হলেও কর্মক্ষেত্রে একেবারেই ফ্লপ হয়ে যায়। কারণ পড়াশুনোর সময় আমাদের কেবলই পড়া মনে রেখে বা মুখস্থ করে নিজের আয়ত্বে রেখে পরীক্ষার খাতায় লিখে দিলেই নম্বর পাওয়া যায়। কিন্তু জীবনের সিলেবাসটা একটু অন্যরকম। এখানে কোনো কিছুই মুখস্ত করে হবেনা। আপনার উপস্থিত বুদ্ধি, পরিমিত ব্যবহার, নিষ্ঠা, সততা, সকলের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা এবং সর্বোপরি অন্যের মানসিকতা বুঝে নিজেকে মেলে ধরার জ্ঞান-ই আপনাকে অন্যদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রাখবে।

     এর পাশাপাশি রয়েছে অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরিস্থিতি। যার কারণে আমরা হঠাৎ হাল ছেড়ে দিই। তা হল, কর্মক্ষেত্রে স্ট্রেস বা ডিপ্রেশন। এই ব্যাপারকে দূরে সরিয়ে রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ জীবনটাকে একটা রুটিনের মধ্যে যখন আপনি ফেলতে পারবেন, তখন আপনি মানসিক দিক দিয়েও কিছুটা এগিয়ে গেলেন। কিভাবে সম্ভব হবে সেটি? আসুন একটু আলোকপাত করা যাক। 

    সকালে ঘুম থেকে উঠুন। অফিস থেকে ফিরতে যদি একটু রাতও হয়, তাও চেষ্টা করুন ভোরে ঘুম থেকে উঠতে। কিছুটা সকালের পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে আত্মস্থ করার চেষ্টা করুন। সে হেঁটে অথবা দৌড়ে বা যোগাসন করে-যে কোনো ভাবেই করা যেতে পারে।

    বই পড়ুন। প্রতিদিন বই পড়ার চেষ্টা করুন। যদি একান্তই বই হাতের কাছে না পান, তাহলে  নিত্যদিনের কাগজটাই পড়ুন। এতে পড়ার অভ্যাস থাকবে এবং পাশাপাশি স্ট্রেস কমবে আপনার।

    গান শুনুন। ঘুমোনোর সময় গান শুনুন। তাহলে সারাদিনের ক্লান্তি পলকে মিলিয়ে যাবে। যে গান শুনলে আপনার ভালো লাগে, সেই গান শুনুন। যে গানে আপনি স্বচ্ছন্দ নয়, তা শুনবেননা এক্ষেত্রে।

    চারপাশের লোকজনকে উৎসাহ দিন। শুধু নিজে নয়, অপরকেও উৎসাহ দিন কাজে। নেগেটিভ চিন্তাকে দূরে সরিয়ে রাখুন। তাহলে নিজে তো ভালো থাকবেনই সঙ্গে সঙ্গে আপনার সংস্পর্শে যারা আসবেন, তারাও ভালো থাকবেন।

     সবার কথা শুনুন। সব সময় আপনি একই কথা বলে যাবেন, অন্য কেউ বলবেনা, এমনটা করবেন না। অন্যের কথাও শুনুন। সবাইকে গুরুত্ব দিলে সকলে আপনাকেও গুরুত্ব দেবে।

     মাল্টিটাস্কিং অভ্যাস করুন। কখনো এমন হয়, আমরা কোন কাজ না পারার দরুণ অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ি। সেক্ষত্রে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনেকে সুযোগ নেয়। নিজেই সব করুন। একান্ত না পারলে জেনে নিন। কাউকে দিয়ে কাজ করাতে গেলেও নিজে সেই কাজটি জানা আবশ্যক, নইলে যে কেউ আপনাকে ঠকিয়ে ফেলতে পারবেনা।

      নিজেকে সময় দিন। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিজের সঙ্গে সময় কাটান দিনের যে কোনও সময়। তাহলে আপনি অনেকটাই স্ট্রেস মুক্ত হতে পারবেন। সেই সময় অন্য কোনো কাজ বা কারোর সঙ্গ নেবেননা। সময়টা পুরোই আপনার সেটা মনে রাখবেন।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...