সবে এক বছর হয়েছে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি উদ্বোধনের। মূর্তিটি উন্মোচনের আগে যথেষ্ট সমালোচনা হয়েছিল, দেশের অনেক অর্থব্যয় করে মূর্তিটি নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু বছর না ঘুরতেই ছবিটা বদলে গেল। পর্যটক সংখ্যার নিরিখে আমেরিকার স্ট্যাচু অফ লিবার্টি'কে অনেকটাই পেছনে ফেলে দিয়েছে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি।
সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দেখতে আসেন ১৫ হাজারেরও বেশি পর্যটক। সম্প্রতি টাইমস ম্যাগাজিনের করা রিপোর্টে বলা হয়েছে বিশ্বের ১০০টি প্রধান দর্শনীয় স্থানের মধ্যে পর্যটকদের পছন্দের জায়গা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি।
সর্দার সরোবর নর্মদা নিগম লিমিটেডের তরফে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১ নভেম্বর ২০১৮ থেকে ৩১ অক্টোবর ২০১৯-এর মধ্যে প্রতিদিনের পর্যটক সংখ্যা দ্বিতীয় বছরে প্রায় ৭৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্বিতীয় বছরের প্রথম মাসেই প্রতিদিন গড়ে ১৫,০৩৬ পর্যটক এসেছেন এই স্ট্যাচু পরিদর্শনে। উইকএন্ডে এই সঙ্গে বেড়ে দাঁড়াচ্ছে প্রায় ২২,৪৩০। সেই জায়গায় নিউ ইয়র্কের স্ট্যাচু অফ লিবার্টি দেখতে আসেন রোজ ১০,০০০ পর্যটক।
নতুন তৈরী হওয়া ক্যাকটাস বাগান, প্রজাপতি বাগান, রিভার রাফটিং, বোটিং-এর ব্যবস্থা হওয়ার পর থেকেই স্ট্যাচু অফ ইউনিটি-তে পর্যটক সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এছাড়াও এখানে রয়েছে কম খরচে থাকার সুবিধে।
সূত্রের খবর, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ৩০ লাখ ৯০ হাজার ৭২৩ জন পর্যটক এসেছেন এখানে। মোট আয় হয়েছে ৮৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। ভারতীয় স্থপতি শিল্পী রাম ভি সুতার-এর ভাবনায় তৈরী স্ট্যাচু অফ ইউনিটির উচ্চতা ১৮২ মিটার। এই মুহূর্তে এই স্ট্যাচুটি অর্থাৎ ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই পটেলের মূর্তিটি বিশ্বের উচ্চতম সৌধ।