রাজ্যের প্রত্যন্ত স্কুলগুলোতে শিক্ষকের ঘাটতি মেটাতে ইন্টার্ন শিক্ষক নেবার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ উত্তীর্ন শিক্ষার্থীদের স্কুলে শিক্ষক হিসেবে ইন্টার্ন নেওয়ার কথা জানান তিনি। ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ,পশ্চিম মেদিনীপুর-এর মত প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে শিক্ষকরা থাকতে চাননা, এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোয় ইন্টার্ন শিক্ষকদের প্রয়োজন বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এই তিন স্তরেই ইন্টার্ন শিক্ষক নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সম্প্রতি নবান্ন সভাগৃহে অনুষ্ঠিত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সাথে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান ভালো সুযোগ সুবিধা না থাকায় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষকরা যেতে চাননা। এইসব স্থানে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা পাশ করেছেন তাদের ইন্টার্ন শিক্ষক হিসেবে নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। ইন্টার্নরা দুবছর ধরে কাজ করার সুযোগ পাবেন। প্রাথমিক স্কুলের ইন্টার্নদের দু'হাজার টাকা করে এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে ভাতা হবে আড়াই হাজার টাকা। নির্ধারিত সময়ের পর সকলকে সরকারি শংসা পত্র দেওয়া হবে।
এইভাবে ইন্টার্নশিপ করে শংসাপত্র পেলে ইন্টার্ন শিক্ষকরা ভবিষ্যতে শিক্ষক নিয়োগের সময় অগ্রাধিকার পাবেন। প্রাথমিক স্কুলে ইন্টার্ন শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পাবেন সাধারণ গ্রাজুয়েট উত্তীর্ণরা। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য অনার্স, এমএ, এমকম, এমএসসি উত্তীর্ণদের ইন্টার্ন করার সুযোগ দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত শুধু স্কুলগুলোতে শিক্ষকের চাহিদা মেটাতেই সক্ষম হবেনা বরং জেলাগুলোতে বেকার সমস্যা সমাধানেও বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। অধ্যক্ষদের সাথে হয়ে যাওয়া বৈঠকে, নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে শিক্ষার মানোন্নয়নে এগিয়ে আসার আহবান জানান মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী।