পর্যটনের ক্ষেত্রে রাজ্যে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, যাতে রাজ্যের পর্যটন শিল্প আরো একটু ভালো হয়। বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যেই জায়গাগুলো ইতিমধ্যেই পর্যটন মানচিত্রে রয়েছে, সেগুলোর মানোন্নয়নের পাশাপাশি নতুন পর্যটন কেন্দ্র গঠনের পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। সে জন্য সারা রাজ্যে মোট ৩০০টি জায়গাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৪৫০ কোটি টাকা এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে। সেখানকার পরিকাঠামো উন্নয়নে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব জানিয়েছেন, দিঘা, মন্দারমণি, শংকরপুর, দার্জিলিং প্রভৃতি পুরোনো পর্যটনকেন্দ্রগুলির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রাকৃতিক শোভা সম্পন্ন জায়গাকে খুঁজে বের করে সেই সমস্ত জায়গায় পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটানোর ব্যবস্থা করা হবে।
নতুন নতুন জায়গায় পর্যটনকেন্দ্র চালু হলে অনেক মানুষ কাজ পাবেন, এলাকার সামগ্রিক মানোন্নয়ন হবে। এই তালিকায় রয়েছে পুরুলিয়ার মুরাডি, দোলাডাঙ্গা, মুরুগুমা, গড়পঞ্চকোট, ভাষা সৌধ, খয়রাবেরা, ডায়মন্ড হারবারের কেল্লার মাঠ, অট্টহাস, বাঁকুড়ার শালতোড়ের বিহারিনাথ, বীরভূমের খোয়াই, রাঙাবিতান, সম্প্রীতিনগর, কঙ্কালীতলা, ঝাড়গ্রামের নাদনগেরিয়ার টুসু মন্দির, কনকদূর্গা মন্দির, ভুটান ঘাট, চালসা, পশ্চিম মেদিনীপুরের গনগনি, পাত্র ও কারবালা, জল্পেশ মন্দির, কেতুগ্রাম, হুগলির মাহেশ, ইছলা নবাব এবং মুর্শিদাবাদের পলাশি। চলতি বছরে সরকারি দফতরের অতিথিনিবাসগুলিকে নতুনভাবে বানানোর জন্য আনুমানিক ২৫০ কোটি টাকা বিভিন্ন দফতরের হাতে তুলে দিয়েছে রাজ্য পর্যটন দফতর। সম্পূর্ণ ব্যবস্থা তদারকির জন্য অনলাইন নজরদারি ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। যার নাম ট্যুরিজম প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সংক্ষেপে টিপিএমএস। এই ব্যবস্থার জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডাকা হচ্ছে। তাতে পর্যটন কেন্দ্রগুলির মানচিত্র, ছবি, সেখানে কি কাজ চলছে, কাজ কতদূর অগ্রসর হল, সব তথ্যই পাওয়া যাবে। পর্যটন দফতরের পাশাপাশি পরিকাঠামো উন্নয়নের দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে পূর্ত, সেচ, বন, পিএইচই পঞ্চায়েত সহ বিভিন্ন দফতরের কাছে। এইভাবে বিভিন্ন পর্যটনে জোয়ার আনতে চলেছে রাজ্য পর্যটন দফতর। আশা করা যায়, আগামীদিনে এই শিল্প যথেষ্ট সাফল্যলাভ করবে এবং বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নেবে।