সাগরমেলায় দুর্ঘটনা এড়াতে সুরক্ষা আরো জোরদার করা হচ্ছে

প্রতি বছর বাংলার গঙ্গাসাগর মেলা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসব। বিভিন্ন জায়গা থেকে পুণ্যার্থীরা আসেন এই মেলায়। সব তীর্থ বার বার,গঙ্গাসাগর একবার- মকর সংক্রান্তিতে একবার গঙ্গাসাগরে স্নান করলেই পুন্য অর্জন করা যায় বলে কথিত আছে। প্রতি বছরই গঙ্গাসাগর মেলার উন্নতি করার জন্য বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা করে রাজ্য সরকার। এই পরিকপল্পনাগুলি নেওয়ার ফলে আগের তুলনায় এখন অনেক গোছানো হয়েছে গঙ্গাসাগরের মেলা। এবারেও ভিড় সামাল দেবার জন্য বেশ কিছু প্রকল্প নিচ্ছে প্রশাসন। কলকাতার বাবুঘাট থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসানো হবে ক্লোস্ড সার্কিট ক্যামেরা। মোট ৭০০ ক্যামেরা বসানোর কথা হয়েছে। তার মাধ্যমেই কোন জায়গায় কত গাড়ি রয়েছে, তার পূর্ণ বিবরণ পাওয়া যাবে কন্ট্রোল রুমে বসে। এই প্রথম গঙ্গাসাগর মেলায় বসতে চলেছে বেলুন ক্যামেরাও। গ্যাস বেলুনে জোড়া থাকবে উন্নতমানের ক্যামেরা। সেই ক্যামেরার তোলা ছবি সরাসরি দেখতে পাওয়া যাবে কম্পিউটার মনিটরে। তার মাধ্যমেই সমগ্র মেলা প্রাঙ্গন চত্বর এবং পুণ্যার্থীদের উপর নজর রাখবে পুলিশ। এতদিন ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হত। কিন্তু তার অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বেলুন ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গ্যাস বেলুন অনেক উঁচুতে উঠতে পারে বলে তার মাধ্যমে অনেক বড় এলাকা জুড়ে নজরদারি চালানো যাবে। এ বারই  প্রথম রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগম এককভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্ব পালন করবে। গঙ্গাসাগর উপলক্ষ্যে সাগরের বেণুবনের কাছে বানানো হচ্ছে নতুন জেটি। বর্তমানে একটিমাত্র জেটি থাকে  একটির বেশি ভেসেল সেখানে ভিড়তে পারেনা। তাই যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রচুর দেরি হয়। এই নতুন জেটি চালু হলে দুদিকের যাত্রীরাই ভেসেলে ওঠানামা করতে পারবেন। ভিড় নিয়ন্ত্রণেও অনেক সুবিধা হবে। ৯ ডিসেম্বর থেকে মুড়িগঙ্গায় ড্রেজিংয়ের কাজও শুরু। এই খাতে রাজ্য সরকার প্রায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...