হাইকোর্ট জানিয়ে দিল ত্রিপুরার ঐতিহাসিক নীরমহল রাজ্যেরই সম্পদ

ত্রিপুরার অন্যতম আকর্ষণ নীরমহল। পর্যটকেরা সেখানে গেলে নীরমহল অন্যতম দর্শনীয় জায়গা হিসেবে গুরুত্ব পায়। সেই নীরমহল এখন খবরের শিরোনামে। ত্রিপুরা হাইকোর্ট, নীরমহলের দাবিদার হিসেবে ওই রাজ্যকেই মান্যতা দিল। 

                                   রুদ্রসাগর লেকজুড়ে নির্মিত হওয়া এই মহলটি ১৯৩০ সালে ব্রিটিশ শাসক কর্তৃক অনুমোদিত ভারতের সামার রিসর্ট হিসেবে গড়ে ওঠে। দীর্ঘ নয় বছর ধরে মহলটি তৈরী করেছিলেন ত্রিপুরার মহারাজ বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুর। এটি নির্মিত হয়েছিল ব্রিটিশ কোম্পানি মার্টিন এন্ড বার্ন-এর দ্বারা। ৫০০ বছরের পুরোনো মানিক্য সাম্রাজ্যে এটি একটি বিশেষ মুকুট হিসেবে স্থান করে নিয়েছে তা বলাই বাহুল্য। লেক প্যালেস নামের এই লাল-সাদা রাজমহলটি বহু দশক ধরে পর্যটকদের মন জয় করে নিয়েছে। রাজস্থানের 'জল মহল' এবং ত্রিপুরার 'নীরমহল'-ই একমাত্র দেশের মধ্যে জল দিয়ে ঘেরা দু'টি মহল, যা দেশী-বিদেশী পর্যটকদের যথেষ্ট আকৃষ্ট করে তাদের নির্মাণশৈলীর কারণে।

                            ১৯৭৪ সালে রাজবংশের তরুণ বংশধর কিরীট বর্মন কিশোর মানিক্য দেববর্মা এই মহলটি রক্ষণাবেক্ষণ এবং পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দেন। পরে ২০০৫ সালে তাঁর স্ত্রী বিভু কুমারী দেবী এবং পুত্র প্রদ্যোৎ কিশোর মানিক্য দেববর্মা ওই মহলটির দাবিদার হিসেবে কোর্টে আপিল করেন। দশ বছর পর ২০১৫ সালে সিভিল জাজেস কোর্ট রাজবংশের সপক্ষে রায় দিয়ে রাজ্য সরকারকে বলে মহলটি রাজবংশকে হস্তান্তরিত করে দিতে। এরপর রাজ্য সরকার আবার হাইকোর্টে আপিল করে। এই আপিলের প্রেক্ষিতে সোমবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এ কে কুরেশি এবং বিচারপতি অরিন্দম লোধ রাজবংশের আপিল খারিজ করে দেন।

              এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হবে বলে নিজের ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন প্রদ্যোৎ।

 

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...