রাজ্যের বেশ কিছু স্কুলে ইংরেজি মাধ্যম চালু হয়েছে। শুধুমাত্র বাংলা মাধ্যমে পড়িয়ে এখন কোনো লাভ হচ্ছেনা। চারদিকে যেভাবে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল গজিয়ে উঠছে, তাতে বাংলা মাধ্যমের অনগ্রসর শ্রেণীর পড়ুয়ারা পাল্লা দিয়ে পেরে উঠছেনা। প্রচুর স্কুলছুটের সংখ্যা তা বলাই বাহুল্য। রাজ্য সরকার তাই ইংরেজি মাধ্যম শুরু করেছে বেশ কিছু স্কুলে। সেটা প্রচার হতেই এবং তার লাভ কতটা, তা বোঝার সঙ্গে সঙ্গেই স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে-যা যথেষ্ট আশাপ্রদ। এই স্কুলে পয়সা কম লাগে, ব্যাগ, বই, জুতো কিনতে হয়না। আবার ইংরেজিও শেখা যায়। অন্যান্য গজিয়ে ওঠা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের তুলনায় অনেকটাই ভালো শেখা যায়। এই ব্যাপারগুলো অনেক অভিভাবকরাও যথেষ্ট উৎসাহী হয়েছেন স্কুলে পাঠাতে। ফলে যে সরকারি স্কুলগুলো ছাত্রের অভাবে ধুঁকছিল, সেগুলোতে এখন বেশ পড়ুয়া হয়ে যাচ্ছে এবং স্কুলগুলো চনমনে হয়ে উঠছে।
বরাহনগরের ভিকটোরিয়া স্কুল, নাগেরবাজারের শ্রী অরবিন্দ বিদ্যামন্দির, বড়বাজারের মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিটিউট ফর গার্লস, বেহালার গরগাছা শিশুভারতী হাইস্কুল প্রভৃতি বহু স্কুলে দিন দিন পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়ছে। তার ফলে উৎসাহ পাচ্ছেন পড়ুয়া-অভিভাবক সহ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। আজকাল শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যের বদলে ব্যবসায়িক দিক দিয়ে লাভবান হতেই ইংরিজি মাধ্যম স্কুল খোলেন প্রচুর লোকজন সেখানে তাই উন্নতমানের লেখাপড়া হয়না। অথচ প্রচুর অর্থের অপচয় হয়। নামি-দামি স্কুলের তুলনায় এখানে কম টাকা লাগে বলে প্রচুর নিম্নবিত্ত অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ভর্তি করেন যাতে সন্তান ইংরেজি শেখে, কিন্তু কিছুদিন পর তারা সেই স্কুলের খরচ সামলাতে পারেন না আবার বাংলা মাধ্যম স্কুলে সন্তানরা পড়তে চায়না। সেই সব ক্ষেত্রে এখন যথেষ্ট সুবিধা হবে এবং হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে খুব শিগগিরই সরকারি স্কুলের ইংরেজি মাধ্যম যথেষ্ট ফলপ্রসূ হবে।