রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর 'আলোশ্রী' প্রকল্পে ইতিমধ্যে রাজ্যের ১২০০ টি স্কুল এবং কলেজের ছাদে সৌর প্যানেল বসানো হয়েছে। সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে যা নজির সৃষ্টি করেছে। এই সৌর প্যানেল থেকে এখন রোজ গড়ে ২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। এর সুবাদে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই প্রতি মাসের বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় করার সুবিধা পাচ্ছে। পাশাপাশি ন্যাক-এর মূল্যায়নেও নিজেদের রেটিং বাড়িয়ে নিচ্ছে। সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে এখন সারা দেশে রোল মডেল স্থাপন করেছে বাংলা বলে দাবি করলেন বিদ্যুৎ দফতর। ২০১৬ সালে দক্ষিণ কলকাতার দেশবন্ধু গার্লস কলেজের ছাদে সোলার প্যানেল বসানো হয়। প্রথম দিকে এর সাফল্য নিয়ে অনেকের মনে সন্দেহ ছিল। সোলার প্যানেল বসানোর পর স্কুল-কলেজ গুলিতে বিদ্যৎ বিল নেগেটিভ হয়ে গিয়েছে। গড়িয়াহাটের বাসন্তীদেবী কলেজের চাঁদেও ১০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। আশুতোষ, সাউথ সুবার্বান, এন্ড্রোজ কলেজ এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে সোলার প্যানেল বসিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। শনিবার বিকেলে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নিজের কেন্দ্র রাসবিহারী উইমেন্স ক্রিশ্চিয়ান কলেজে সোলার প্যানেল বসানোর কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। তার কাছ থেকে জানা গেল সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে স্কুল কলেজ ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি ভবনের ছাদকে কাজে লাগানো হবে। সেখানে যে বিদ্যুৎ তৈরী হবে, তার দাম বিদ্যৎ বিল থেকে কাটা যাবে। শহরের বিভিন্ন পার্ক এবং রাস্তার পাশেও সোলার প্যানেল বসানোর পরিকল্পনা করছে দফতর। বড় বড় বেসরকারি আবাসনের ছাদেও সোলার প্যানেল বসানো বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এইভাবে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল-কলেজগুলিতে বিদ্যুৎ খরচ বাচিয়ে দেশের কাছে নজির সৃষ্টি করছে আমাদের রাজ্য।