সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। আর এখন থেকেই তাই জিমে গিয়ে ওজন কমিয়ে স্লিম চেহারা পাওয়ার দিকে নজর দিচ্ছে জেন ওয়াই। কিন্তু দুর্গাপুজো সময় খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম হবে না তা কি হয়? এখন যতই ওজন কমান না কেন দুর্গাপুজোর এই কয়েকটা দিনে যে নিয়মমাফিক খাওয়াদাওয়া হয় না তা তো সকলেরই জানা। বছরের এই চারটে দিনেই মানুষ সবটুকু আনন্দ নিয়ে নিতে চায়। আর সেই তালেগোলে শরীরের দফারফা। পুজোর কয়েকদিনের অনিয়মের কারণেই ছোটোখাটো একটা ভুড়ি তৈরী হয়ে যেতেই পারে। তাছাড়া বাইরের নানারকম জাঙ্কফুড থেকে শরীর খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিক। তাই এখন থেকেই মেন্টেন করুন এমন একটি ডায়েটচার্ট যেটির ফলে পুজোর সময় বাইরের খাওয়াদাওয়া বেশি হয়ে গেলেও খুব একটা অসুবিধা হবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডায়াটেশিয়ান দ্বারা প্রস্তুত করা সেই ডায়েট চার্ট.............
ডায়েটেশিয়ানরা জানিয়েছেন, পুজোর আগে শরীর সুস্থ রাখার জন্য কোনো হেভি ডায়েটের প্রয়োজন নেই। জীবনধারায় সামান্য পরিবর্তন এবং খাদ্যতালিকায় কিছু জিনিসের সংযোজনই যথেষ্ট পুজোর আগে সুস্থ থাকার জন্য। তারা জানিয়েছেন, টকদই, পর্যাপ্ত পরিমান জল এবং শরীরচর্চাই পারে পুজোর আগে শরীরকে একেবারে 'অনিয়মের' উপযোগী করে তুলতে। ভাবছেন তো কি বলছি? হ্যাঁ, ঠিকই বলছি। কারণ চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শরীর থেকে টক্সিন জাতীয় পদার্থ যত বেশি নির্গত হবে শরীর তত ভালো থাকবে। আর শরীরকে ডি-টক্সিফাইয়িং করা খুব একটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার নয়। টকদইতে থাকে প্রচুর পরিমান প্রোবায়োটিক। টকদইয়ের প্রোবায়োটিক লিভারের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে প্রভূত সাহায্য করে থাকে। তাই চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পুজোর আগে খাদ্যতালিকায় টকদই সংযোজন করা গেলে উপকার মেলে হাতেনাতে। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, টকদই খেতে হবে চিনি ছাড়া।
পুজোর সময় তেলমশলাযুক্ত খাবারের পাশাপাশি বাইরের জাঙ্কফুড খাওয়া হয়ে যায় অনিচ্ছা স্বত্তেও। আর তাতেই ঘটে বিপদ। সেই সময় দিনে একবার যদি টকদই খাওয়া যায় তাহলে খাবার হজম হতে সাহায্য করে থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন,টকদইয়ের ফার্মেন্টেড এনজাইম খাবারের হজমে সাহায্য করে থাকে। সেই কারনে গ্যাস অম্বলের ক্ষেত্রেও চিকিৎসকেরা টকদই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়াও জানা গেছে, টকদই শরীরে গুড কোলেস্টেরলের অর্থাৎ এইচডিএলের মাত্রা বাড়াতে এবং ব্যাড কোলেস্টেরল এলডিএল-এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ঘরে পাতা টকদই এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উপকারী। অন্যদিকে, জল কম খেলে শরীরে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। আর ডিহাইড্রেশনের ফলাফল হিসেবে শরীরে জমা হতে থাকে টক্সিনজাতীয় পদার্থ। রক্তের দূষণ দূর করতে এবং শরীরকে টক্সিনমুক্ত করতে প্রচুর পরিমানে জল খাওয়া আবশ্যক। টক্সিন কমাতে টকদইয়ের ভূমিকাও কম নয়। পুজোর ক'দিন শরীরে তেলমশলার অতিরিক্ত ক্যালোরি যুক্ত হবে। সেইসময় পাতে থাকুক দই-শসার স্যালাড। পুজোর সময় হুল্লোড়ের চোটে অনেকেই বেশ কাহিল হয়ে যান। কিন্তু পুজো শেষ হলেই যে আবার আগের রোজকার রুটিন শুরু! তার জন্য শরীরকে ফিট রাখতে তো হবেই। এবিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শরীরকে ক্লান্ত হওয়া থেকে আটকাতে পাতে রাখতেই হবে টকদই। তাছাড়া প্রতিদিন দুধও খেতে পারেন আপনি। অনেকেই আছেন যারা দুধ খেতে চান না কিংবা দুধ সহ্য হয় না। তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা সম্পূর্ণভাবে দইয়ের উপরেই ভরসা রাখার কথা জানিয়েছেন।