প্রতি বছরের মতো এবছরও হয়ে গেলো 'স্বর সম্রাট ফেস্টিভ্যাল', আর কলকাতা শহর সাক্ষী হয়ে রইলো আরও এক সঙ্গীত সম্মেলনের। সম্প্রতি নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হলো এই ফেস্টিভ্যাল যেখানে গণ্য-মান্য সঙ্গীত বিশারদ, বিভিন্ন ঘরানার শিল্পী , নৃত্যশিল্পী, সুরকার থেকে সাধারণ দর্শক, উপস্থিত ছিলেন সকলেই। প্রধান উদ্যোক্তা তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার এই সঙ্গীত সম্মেলন কে ওস্তাদ আলি আকবর খান এর নামে উৎসর্গ করেন। ৪ দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানের তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়|
পণ্ডিত দেবাশীষ ভট্টাচার্য্যের হিন্দুস্থানী স্লাইডিং গিটার দিয়ে, সঙ্গতে ছিলেন তবলা বাদক পণ্ডিত তন্ময় বোস। তাঁদের অসাধারণ যুগলবন্দীর পর, মঞ্চে উপস্থিত হন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী জয়তীর্থ মেভুন্দি, কিরানা ঘরানার এই হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পীকে তবলায় সঙ্গত দেন সৌমেন সরকার ও হারমোনিয়ামে সনাতন গোস্বামী। এই সব বিখ্যাত মানুষের সঙ্গীত পরিবেশনায় অভিভূত হন দর্শকরা। দর্শকদের উন্মাদনা আরও বাডিয়ে দেন সেতার বাদক ওস্তাদ সুজাত খান। তাঁর অনবদ্য সেতার বাদনে মুখরিত হয়ে ওঠে প্রেক্ষাগৃহ। তাঁর সঙ্গে তবলায় ছিলেন আরেক বিখ্যাত তবলা বাদক ওস্তাদ সাবির খান ও তাঁরই আরেক সুযোগ্য শিষ্য আসিফ খান।
তাঁদের যুগলবন্দী ছিল একে ওপরের পরিপূরক। এরপরে মঞ্চে আসেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ গায়িকা বেগম পারভীন সুলতানা, যাঁর জন্য সমস্ত দর্শক অপেক্ষা করে বসেছিলেন, তাঁর গায়কি নিয়ে কিছু বলার অবকাশ রাখেনা। তাঁর কণ্ঠস্বরে গমগম করে ওঠে মঞ্চ ও পুরো প্রেক্ষাগৃহ। বেগম পারভীন সুলতানার সাথে তবলায় সঙ্গত দেন পণ্ডিত স্বপন চৌধুরী ও হারমোনিয়াম এ ছিলেন পণ্ডিত জ্যোতি গুহ। অনুষ্ঠান শেষ হয় বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী ডক্টর মল্লিকা সারভাই এর নৃত্য পরিবেশনা দিয়ে। শিল্পী মল্লিকা সারাভাই ও তাঁর পুত্র রেভান্তা সারভাই এর যুগ্ম নৃত্য পরিবেশন ছিল এ সন্ধ্যার প্রধান আকর্ষণ। ভরতনাট্যম নৃত্যের অসামান্য শৈলীর এই পরিবেশনায় দর্শক অভিভূত হন। সেই সঙ্গে শাস্ত্রীয় নৃত্যের সাথে তাঁরা দুজনেই কলকাতাবাসিকে বিশেষ উপহার দেন রবীন্দ্রসঙ্গীত এ ভরতনাট্যম নৃত্য পরিবেশন করে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মধুমন্তী মৈত্র। আর এই সবকিছুই ধরা পড়েছে জিয়ো বাংলার ক্যামেরায়।