শ্রীরামকৃষ্ণের প্রিয় এই মিষ্টির স্বাদ না নিলে কামারপুকুর ভ্রমণ অসম্পূর্ণ

বোঁদে শুনলেই চোখে ভাসে হলুদ রসালো দানা। মাঝে মাঝে লাল। নানা রকম তার আকার। আবার রসহীন শুকনো বোঁদেও মিষ্টিপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয়। কিন্তু কামারপুকুরের সাদা বোঁদের জনপ্রিয়তার কাছে হার মেনেছে সেসব। রামকৃষ্ণ তীর্থের বিখ্যাত সাদা বোঁদে পেয়েছে শিল্পের মর্যাদা।সাদা বোঁদে ঘিরে উঠেছে ভৌগলিক স্বীকৃতি জিআই-এর দাবীও।    

আনুমানিক দু’শো বছর আগে জন্ম হয় এই মিষ্টির। শ্রীরামকৃষ্ণ ভালবাসতেন সাদা বোঁদে। কামারপুকুর ছাড়া আর কোথাও পাওয়া যায় না এই সাদা বোঁদে। ইতিহাসে বিশদ তথ্য না পাওয়া গেলেও মনে করা হয় ১২০০ বঙ্গাব্দে প্রথম কামারপুকুরে এটি তৈরী।  মধুসূদন মোদক এই সাদা বোঁদে তৈরি করতেন।আতপ চালের গুঁড়ি আর বেসনের মিশ্রণকে এক সঙ্গে করে ছোট ছোট দানা তৈরি করা হয়। ঘিয়ে ভাজার পর চিনির রসে ডুবিয়ে  তৈরি হয়ে যায় সাদা বোঁদে। 

জনশ্রুতি রয়েছে ঠাকুর কামারপুকুরের সত্যকিংকর মোদকের দোকানে সাদা বোঁদে খেতে খুব ভালবাসতেন। অনেকেই বলেই মোদকদের বাড়ির কোন ছেলে ছিলে ঠাকুরের সহপাঠি। ১৯৪৭ সালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষ কামারপুকুরে শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মস্থান অধিগ্রহণ করার পর এখানকার সাদা বোঁদের খ্যাতি ভক্তদের হাত ধরে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। বেড়ে যায় চাহিদাও।

সাদা বোঁদের স্বাদ না নিলে কামারপুকুর ভ্রমণ অসম্পূর্ণ। শ্রীরামকৃষ্ণের প্রিয় মিষ্টান্ন এক হয়ে গিয়েছে তাঁর জন্মভূমির সঙ্গে।  

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...