শুরুর দিকটা তার ভালোই ছিল। নানা বিতর্কের মধ্যে থাকলেও সাফল্যের স্বাদ পাচ্ছিলেন তিনি বরাবরই। ২০০৭ সালের টি২০ বিশ্বকাপ ও ২০১১ বিশ্বকাপ-এর পদক দুটি, খুব বেশি ক্রিকেটারের কাছে নেই। কিন্তু তার আছে। শ্রীশান্থ-এর কেরিয়ার ঠিকঠাকই চলছিল ২০১৩ এর আইপিএল অবধি। রাজস্থান রয়্যালস-এর হয়ে খেলার সময় স্পট ফিক্সিং-এর অভিযোগে আজীবন নির্বাসিত হয়েছিলেন কেরালার এই ফাস্ট বোলার। কিন্তু এবার তার শাস্তি কমতে চলেছে।
বিসিসিআই-এর অম্বুডসম্যান, প্রাক্তন বিচারক ডিকে জৈন সিদ্ধান্ত নেন যে শ্রীশান্থ-এর আজীবন নির্বাসনের শাস্তি কমিয়ে ৭ বছর অবধি রাখা হবে। অর্থাৎ চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটের উপর থেকে তার নির্বাসন উঠে যেতে চলেছে।
প্রাক্তন বিচারক জৈন তার অর্ডারে লেখেন, “শ্রীশান্থ ইতিমধ্যেই ৬ বছর ধরে নির্বাসনের শাস্তি ভোগ করছেন, যা তাকে ক্রিকেট বা বিসিসিআই-এর কোনওরকম ইভেন্ট থেকে দূরে রাখছে। এছাড়াও শ্রীশান্থ বর্তমানে তিরিশোর্ধ্ব হয়েছেন, যার ফলে বলাই যেতে পারে একজন ফাস্ট বোলার হিসেবে তার ক্রিকেট কেরিয়ার প্রায় শেষের পথে। তাই এইসমস্ত চিন্তা মাথায় রেখে শ্রীশান্থকে বিসিসিআই দ্বারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আয়োজিত কোনও ক্রিকেট ম্যাচে অংশগ্রহণ থেকে ৭ বছরের নির্বাসন দেওয়া হল, যা শুরু হয় ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে, যেই সময়ে তার উপর এই আজীবন নির্বাসনের শাস্তি ঘোষণা করেছিল বিসিসিআই-এর ডিসিপ্লিনারি কমিটি”।
এই ঘোষণা শোনার পর আবেগপ্লুত হয়ে পড়েন শ্রীশান্থ। কোচিতে বসে তিনি জানান, “এখন আমি ৩৬ এবং পরের বছর আমি ৩৭ হবো। এই মুহুর্তে আমার ৮৭টি টেস্ট উইকেট আছে এবং আমার লক্ষ্য আমি আমার কেরিয়ার ১০০টি টেস্ট উইকেট নিয়ে শেষ করব। আমি আশাবাদী যে আমি আবারও ভারতীয় টেস্ট দলে সুযোগ পাব, আর আমি বরাবরই বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বে খেলতে চেয়েছি”।
গত মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে শ্রীশান্থের আজীবন নির্বাসনের বিষয়ে বিসিসিআই-কে একটি আবেদন পত্র পাঠানো হয় যাতে তার নির্বাসনের সময়সীমা কমানো যায় কিনা তা বিবেচনা করে দেখার জন্য। ফলে তখন এই মামলাটি যায় অম্বুডসম্যান-এর কাছে। তবে এখন প্রশ্ন একটাই, নির্বাসন কাটিয়ে শ্রীশান্থ কি পারবে তার পুরোনো ছন্দে ফিরে আসতে।