মেট্রোর দুর্ঘটনা নিয়ে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ যে তদন্ত শুরু করেছে, তার মূল কান্ডারি হিসেবে শহরে এসেছেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (মেট্রো সার্কল) হেড কুমার গর্গ। গত সোমবার তিনি দিল্লি থেকে এসে মূলত স্টেশন এবং কারশেড পরিদর্শন করেছিলেন। দুর্ঘটনার মূল তদন্ত শুরু হওয়ার কথা আজ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মেট্রো কর্তৃপক্ষের সূত্র থেকে জানা গিয়েছিল শেষ মুহূর্তে মেট্রোর দরজা আটকে ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করলে সেই যাত্রীকে দিতে হবে ৫০০ টাকা জরিমানা। কিন্তু মেট্রো কর্তৃপক্ষ আর এক ধাপ এগিয়ে ঘোষণা করল, শুধু ৫০০ টাকা জরিমানাই নয়, ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে আবার সঙ্গে হতে পারে সর্বোচ্চ ৬মাসের জেল।
এই প্রসঙ্গে মেট্রোর এক কর্তা জানান, আইনেই রয়েছে, কোনও কর্মীর কাজে বাধা দিলে সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা নেওয়া হতে পারে এবং হতে পারে তার সঙ্গে সর্বোচ্চ ৬ মাসের জেল। মেট্রো রেলওয়ের সিপিআরও ইন্দ্রানী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ট্রেনে ওঠার সময় জোর করে দরজা আটকানো মানে মেট্রোর আইন লঙ্ঘন করা। কাজেই সেই আইন মোতাবেক এখন থেকে মেট্রোর কর্মীর কাজে বাধা দেওয়ার জরিমানা স্বরূপ দিতে হবে ওই অংকের অর্থ এবং সঙ্গে থাকবে হাজতবাস। মেট্রোর তরফে এই ব্যাপারে ঘোষণা করা হবে এবং প্রতিটি স্টেশনে নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হবে।
মেট্রো সূত্রে জানা গেছে, আজ মেট্রো ভবনে বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে তদন্ত শুরু করবেন মেট্রোর সিআরএস। এই উদ্দেশ্যে দুর্ঘটনার দিন যে সব যাত্রী ট্রেনে উপস্থিত ছিলেন, তাদের মধ্যে কেউ যদি সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতে চান, তাঁরা তা দেবার জন্য মেট্রো ভবনে আসতে পারেন বলে জানানো হয়েছে। রেল বোর্ড এবং চেন্নাইয়ের কোচ ফ্যাক্টরি থেকে প্রতিনিধি পাঠানোর জন্য সেখানে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। আগামী কাল চেন্নাইয়ের কোচ ফ্যাক্টরির প্রতিনিধির উপস্থিত থাকার কথা। এছাড়া দিল্লিতে সিআরএস-এর অফিসেও লিখিতভাবে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠাতে পারেন যাত্রীরা বলে জানিয়েছেন কুমার গর্গ। আজ থেকে আগামী চার-পাঁচদিন ধরে এই তদন্ত প্রক্রিয়া চলতে পারে বলে জানা গেছে। উক্ত তদন্তে ট্রেনটির চালক অফিসারদের সঙ্গেও কথা বলা হবে। পাশাপাশি রেকটির নির্মাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হবে। বিভিন্ন কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হবে। মোট কথা হল, ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত হবে।