সামনেই পুজো। আমাদের জীবনে বিশেষ করে বাঙালিদের জীবনে এই পুজোর গুরুত্ব যথেষ্ট। পুজো নিয়ে আমরা বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা করে থাকি। পুজোর খাওয়া-দাওয়া, পোশাক, সাজগোজ এবং অতি অবশ্যই ঘোরা। পুজো মানেই চুটিয়ে ঘোরা। আগে বলা হত, নতুন জুতো পরে পায়ে ফোস্কা না পড়লে যেন পুজোর ঘোরা পরিপূর্ণই হয়না। তবে দিন-কাল পাল্টেছে। এখন আমরা স্মার্টলি চলাফেরা করি। পায়ে ফোস্কা আটকাতে বিভিন্ন রকম প্যাক বেরিয়ে গেছে। যা মেইনটেইন করলে ফোস্কা পড়া আটকানো যায়। তাছাড়া দূরদূরান্তের প্যান্ডেল হপিং করার জন্য তো এখন গাড়ি ছাড়া ভাবাই যায়না। সাম্প্রতিককালে এই পুজো উপলক্ষ্যেও প্যাকেজ ট্যুর শুরু হয়ে গেছে। সরকারি পর্যটন বিভাগ এবং বেসরকারি বিভিন্ন এজেন্সি বিভিন্ন রকম প্যাকেজ নিয়ে হাজির হয় আমাদের সামনে পুজো পরিক্রমা করতে। তার মধ্যে থেকে যে কোনো একটা বেছে নিলেই হল।
আমাদের শহরে তো বটেই, বিভিন্ন জেলা শহরগুলোতেও এই প্যাকেজ ট্যুর এখন খুব ইন। উত্তরবঙ্গও পিছিয়ে নেই। দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা 'সবুজের পথে হাতছানি' নামে প্যাকেজ ট্যুরের ব্যবস্থা করেছে। এই ট্যুরের মাধ্যমে পর্যটকেরা কোচবিহার থেকে জলদাপাড়া, ঝালং, বিন্দু, মূর্তি, গোরুমারা, চাপড়ামারি, রকি আইল্যান্ড, গ্যাংটক, ছাঙ্গু, নাথুলা, রসিকবিল, চিলাপাতা, ফুন্টশিলিং, জয়ন্তী, জেলেপ-লা-পাস প্রভৃতি জায়গায় যাওয়া যাবে। এই প্যাকেজ ট্যুরের জন্য অনলাইন বুকিং-এও সিট বুক করা যাবে বলে জানানো হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। বিভিন্ন ভাগে প্যাকেজ ট্যুর-এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার জন্য মোট ২৪টি গাড়ি রাখা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, শিলিগুড়ি ও রায়গঞ্জ থেকে মোট ১১টি বাস বিভিন্ন জেলায় চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুজোর জন্য বিভিন্ন রুটে আরো এসি বাস চালানো, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন ডিপো থেকে কলকাতাগামী বাস, ভলভো বাস প্রভৃতি চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই ব্যাপারে কোচবিহার সংস্থার বোর্ড মিটিং সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, সন্দীপ দত্ত সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। ওই দিন মিটিংএ সংস্থার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সংস্থার ইতিহাস, ঐতিহ্যকে তুলে ধরার পরিকল্পনাও করা হয়েছে।