চন্দ্রযান-২-এর সফ্ট ল্যান্ডিং-কে স্মরণে রাখতে ডাক বিভাগের পশ্চিমবঙ্গ শাখার 'স্পেশাল কভার'

 

 চন্দ্রযান -২, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পালকের স্পর্শে চাঁদের মাটি ছোঁবে। ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এটি একটি মাইলস্টোন হতে চলেছে। এই প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারতের নিজস্ব চন্দ্রযান অবতরণ করছে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণীয় রাখতে ভারতীয় ডাক বিভাগের পশ্চিমবঙ্গ সার্কল আগামী ৭ সেপ্টেম্বর 'স্পেশাল কভার' প্রকাশ করতে চলেছে

                 রাজ্যের চিফ পোস্টমাস্টার জেনারেল জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই চন্দ্রযান-২ সাফল্যের একটা একটা সিঁড়ি বেয়ে নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে। আর মাত্র কয়েকটা দিনের  অপেক্ষা। তার পরেই তৈরী হতে চলেছে ইতিহাস। সেই ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকতেই ডাক বিভাগ এগিয়ে এসেছে বিশেষ কভার করার জন্য। যদিও এর আগে চন্দ্রযান-১ বা মঙ্গলযান-১ এর সাফল্যের পর এরকম কোনো কভার প্রকাশ হয়নি বলেই জানিয়েছে ডাক বিভাগ। তাই এটা  পশ্চিমবঙ্গের ডাক বিভাগের ক্ষেত্রেও বিশেষ তাৎপর্য রাখবে।

                দ্বিতীয় ডি অরবিটিং ম্যানুভারও সফল হয়েছে। ল্যান্ডার 'বিক্রমে'র লক্ষ্য এখন শুধুই চাঁদ। ৯ সেকেন্ডের এই ডি অরবিটিং বা রেট্রো অরবিটিং সম্পন্ন হয়েছে বুধবার ভোররাত ৩টে ৪২ নাগাদ। ইসরোর মাধ্যমে জানানো হয়েছে, এই ম্যানুভারের মাধ্যমে দূরত্ব আরও কমেছে। চাঁদকে ৩৫x১০১ কিমি দূরত্বের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করছে চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। আপাতত ল্যান্ডিংয়ের জন্য চন্দ্রপৃষ্ঠ স্ক্যান করবে বিক্রম। সব কিছু ঠিক থাকলে ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১টা ৩০ মিনিট থেকে ২টো ৩০ মিনিটের মধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ড করবে বিক্রম। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৪৭১ কেজি ওজনের ল্যান্ডার বিক্রম ৬৫০ ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। অরবিটারের মাধ্যমেই ল্যান্ডার 'আইডিএসএন'-এর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে। চাঁদের থেকে ১০০ কিমি দূরত্বে পৌঁছে সে অরবিটারের মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠের আরও ছবি ও তথ্য পাঠিয়ে দেবে আমাদের গ্রহে। এই মুহূর্তে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে 'বিক্রম'-এর দূরত্ব ১১৯ কিমি।

               ল্যান্ডার কতটা এগোচ্ছে, তার বিবরণ পাঠাচ্ছে অরবিটার। যেখান থেকে আলাদা হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে বিক্রম। তবে এখনও পর্যন্ত বিক্রম ও পৃথিবীর মধ্যে যোগাযোগের মূল মাধ্যম-ই হল ২৩৭৯ কিলোগ্রাম ওজনের এই অরবিটার। অরবিটারটিতে রয়েছে 'টেরেন ম্যাপিং ক্যামেরা ২ (টিএমসি ২)', যার মাধ্যমে প্রথম চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি দেখেছিলাম আমরা। তা ছাড়াও অরবিটারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে 'নিউট্রাল মাস স্পেকট্রোমিটার', 'সিন্থেটিক অ্যাপারেচার র‍্যাডার', 'রেডিও অকুলেশন এক্সপেরিমেন্ট', 'সফট এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার' ও 'সোলার এক্স-রে মনিটর' ভারতের চন্দ্রাভিযান সফল হওয়ার পরেও এক বছর কক্ষপথে উপস্থিত থেকে নজরদারি চালাবে এটি। প্রায় ১০০০ ওয়াট বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের ক্ষমতা যুক্ত অরবিটার নিয়মিত 'ইন্ডিয়ান ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক'-এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...