কলকাতাকে হোর্ডিংমুক্ত করতে আপ

আমাদের শহর কলকাতার সৌন্দর্য্যায়ন নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। আগের তুলনায় বেশ সুন্দরী হয়েছে শহর কলকাতা তা বলাই বাহুল্য। এই সৌন্দর্য্যায়নের জন্য যে সমস্ত প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, সেগুলি তো আছেই, তাছাড়া কিছু কিছু কারনের জন্য শহরকে দেখতে একটু খারাপ লাগে। সেই কারনগুলিকেও খুঁজে বের করে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। সেই রকমই একটি ব্যবস্থা নেওয়া হল শহরকে দৃশ্য দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে। শহরে বিজ্ঞাপন দেবার জন্য হোর্ডিং লাগানো হয়-কিন্তু সেই হোর্ডিং যদি বেআইনিভাবে যথেচ্ছ প্রয়োগ করা হয়, তাহলে শহর দূষিত হয়ে যায় বৈকি। তাই কোন হোর্ডিং আইনি আর কোনটি বেআইনি, তা জানতে বৃহস্পতিবার একটি আপ-এর উদ্বোধন করলেন বিজ্ঞাপন বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য দেবাশিস কুমার। কোনও পেশাদার সফ্টওয়ার পরামর্শদাতা সংস্থার সাহায্য ছাড়াই পুরসভার তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা এই আপ বানিয়েছেন। যে মুহূর্তে আপটি চালু করে কোনও নাগরিক বা পরিদর্শক কোনও হোর্ডিং-এর ছবি তুলে তা আপলোড করবেন, তখনই সেই তথ্য ও ছবি দেখতে পাবেন দফতরের আধিকারিকেরা। সংগৃহিত তথ্য এইভাবে বিজ্ঞাপন বিভাগের মূল তথ্য ভান্ডারের সঙ্গে মিলিয়ে নিলে সহজেই বলা যাবে ওই হোর্ডিং নতুন, নাকি পুরোনোআইনি নাকি বেআইনিবিজ্ঞাপন সংস্থাগুলিকেও নির্দেশ দেওয়া হবে এই আপের মাধ্যমে তাদের বিজ্ঞাপনের ছবি ও তথ্য যেন তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুরসভার সার্ভারে আপলোড করে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সার্ভারে আপলোড না করলে সেই বিজ্ঞাপন বেআইনি বলে ধরা হবে। কোথাও নতুন বিজ্ঞাপন দিতে গেলে অথবা কোনও হোর্ডিং-এর লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করতে গেলেও এই আপের মাধ্যমেই আসতে হবে। এভাবেই তৈরী করা হবে পুরসভার বৈধ হোর্ডিংএর তথ্যসমগ্র। অবৈধ হোর্ডিং ধরার জন্য রাতে যে অভিযান চলে, তার খুঁটিনাটি পাওয়া যাবে এই আপ থেকে। এভাবেই বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে শহরের বেআইনি হোর্ডিং বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে নতুনভাবে এই কাজ করার প্রয়াসকে স্বাগত জানাতেই হয়।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...