কথায় বলে আকাশ-কুসুম, কিন্তু ‘আকাশ-কুসুম’ এখন আর স্বপ্ন নয়। নাসার দৌলতে সত্যি হতে চলেছে এই প্রবাদ।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বহু দিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে খাদ্যশস্য ও গাছপালা উৎপাদনের। অবশেষে মিলল সাফল্য। মঙ্গলবার মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা তাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি জিনিয়া ফুলের ছবি প্রকাশ করেছে। গাছটি জন্মেছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে (আইএসএস)। মহাকাশে কীভাবে চাষবাস করা যায় সে সম্পর্কে ধারণা পেতে এই কাজে সাফল্য পাওয়া বিজ্ঞানীদের জন্য অত্যন্ত জরুরী।
View this post on Instagram
জিনিয়া ফুলের ছবি পোস্ট করে নাসা লিখেছে. আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে সবজি উৎপাদনসংক্রান্ত গবেষণার অংশ হিসেবে কক্ষপথে জিনিয়া ফুলটি ফুটেছে।
সত্তরের দশক থেকে মহাকাশে উদ্ভিদের চাষাবাদ নিয়ে গবেষণা চালানো হচ্ছে। তবে মহাকাশে ফুল জন্মানোর গবেষণাটি শুরু হয় ২০১৫ সালে। মহাকাশচারী কেউলি লিন্ডগ্রেন কাজটি শুরু করেন। মহাকাশে ‘সবজি উৎপাদনব্যবস্থা’ চালু করেন এবং জিনিয়া ফুলের বীজ লাগান।
মহাকাশে বাগান কেন গুরুত্বপূর্ণ?
সে প্রসঙ্গে নাসা লিখেছে, ‘মহাকাশে বাগান করাটা আমাদের জন্য লোক দেখানো কোনও বিষয় নয়। কক্ষপথে কীভাবে গাছ জন্মাতে পারে, তা জানার মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে পারব পৃথিবীর বাইরে কীভাবে শস্য উৎপাদন করা সম্ভব। চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহের মতো দীর্ঘমেয়াদি অভিযানে টাটকা খাবারের উৎস তৈরি করা সম্ভব হতে পারে এর দ্বারা।’
এই সাফল্যের উদযাপনে #স্পেসফ্লাওয়ার বলে হ্যাশট্যাগও তৈরি করেছে নাসা। বলাই বাহুল্য বিশ্বের মহাকাশপ্রেমী মানুষের মনে আলাদা উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে এই ছোট্ট জিনিয়া।