কলকাতার সৌরদীপের ছোট ছবি ‘cycle of eternity’, অস্কার কোয়ালিফাইং রেইনডান্স চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছে

বিদেশের মাটিতে নিজের দেশকে নিবেদন করার একটা বিরাট গর্বের বিষয়। বেশ কিছুদিন ধরে এক অন্যরকম আনন্দ উপভোগ করছে আমাদের দেশ, তা সে খেলাধূলার দিক থেকে হোক কিংবা চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান। এইবার সেই সুযোগটা জিতে নিল কলকাতার শহরের ছেলে সৌরদীপ দত্ত।

Screenshot_2023-09-20_013830_1695217124378_1695217159820_11zon

অস্কার কোয়ালিফাইং রেইনডান্স চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩-এ সৌরদীপ দত্তের বানানো একটি ছোট ছবি ‘সাইকেল অফ ইটারনিটি’ (Cycle of Eternity) নির্বাচিত হয়েছে । এই চলচ্চিত্র উৎসবটি ইউকের (UK) সবথেকে বড় এক ইনডিপেনডেন্ট উৎসব। এই চলচ্চিত্র উৎসবের প্রথম ধাপে জমা পড়েছিল প্রায় 4,6০০টি ছবি। তার মধ্যে নির্বাচিত হয়েছিল মোট 40 টি ছবি এবং তার মধ্যে থেকে মোট 5 টি ছবি ইন্টারন্যাশনাল অস্কার কোয়ালিফাইং প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়েছে এই ‘সাইকেল অফ ইটারনিটি’ (Cycle of Eternity) ছবিটি।

জানা গিয়েছে, সৌরদীপ দত্তের এই ছবিটার গল্প এক মা ও মেয়ের জীবন-মৃত্যুকে ঘিরে বানানো হয়েছে। এক মৃত মা তাঁর মেয়েকে এক প্রস্ফুটিত তরুণ গাছের মধ্যে খুঁজে পায়। অন্যদিকে  তাঁর মেয়ে মাকে কাঠের আলমারির ভিতরে খুঁজে পায়।

এটাও জানা গিয়েছে যে এই ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিশ্বজিৎ দাস, শ্রীতমা দে ও দেবকন্যা হাজরা।

এই চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে এবং নিজের দেশের জন্যে প্রতিনিধি হিসেবে সৌরদীপ দত্ত লন্ডনে যাবেন। এই চলচ্চিত্র উৎসবে সাউথ এশিয়া থেকে আরও একটি ছবি জন্য নির্বাচিত হয়েছে, সেটি হল চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত বাংলাদেশের এক ছবি 'পেটকাটা ষ'।

'Cycle of Eternity'-র পরিচালক সৌরদীপ দত্ত এই বিষয়ে জানান যে এই ছবিতে ভারতীয় অমরত্বের দর্শনকে তুলে ধরা হয়েছে। তিনি এই ছবিটা বানানোর জন্য ভারতীয় প্রাচীন উপনিষদের সাহায্য নিয়েছিলেন। এখানে জীবন-মৃত্যুকে কীভাবে গ্রহণ করা উচিত সেবিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। তাঁর মনে হয় এই ছবিটাকে একটা বড় দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রহণ করা উচিত। তাঁর বিশ্বাস, শিল্প মানুষের মনে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে পারে এই ছবিটি। এটা মানুষকে শান্তির পথে পরিচালনা করতে পারে। ছবির দৃশ্য ও কথার মাধ্যমে মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে এবং খুবই শান্ত পরিসরে এই ছবিটি তৈরি হয়েছে।

পরিচালক সৌরদীপ আরও জানিয়েছেন যে এই ছবিটা খুব স্বল্প বাজেটের মধ্যে তিনি বানিয়েছেন। এটা বানাতে গিয়ে তাঁকে বহু রাত জাগতে হয়েছে। এই ছবিটা বানানোর জন্য মোট ২০জন মানুষ টানা ৭-৮দিন দিনরাত এক করে কাজ করেছেন। সৌরদীপ জানিয়েছেন এই ছবিটার পিছনে অনেকের পরিশ্রম রয়েছে প্রত্যেকের।

প্রসঙ্গত আগামী ২৭ অক্টোবর সেন্ট্রাল লন্ডনের বিখ্যাত জেনেসিস সিনেমাহলে ছবিটি দেখানো হবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...