উত্তরাখণ্ড ‘দেবতাদের দেশ ’

উত্তর ভারতের পাহাড়ে ঘেরা রাজ্য উত্তরাখণ্ড। হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থানগুলি রয়েছে এই রাজ্যেই। সংস্কৃত শব্দ 'উত্তরাখন্ড'-এর অর্থ হল ‘উত্তরের দেশ’। তবে হিন্দুধর্মশাস্ত্র ও পুরাণ অনুসারে, হিমালয় পর্বতমালার মধ্যবর্তী অঞ্চলকে উত্তরাখণ্ড বলা হয়। উত্তরাখণ্ড ‘দেবভূমি’ নামে পরিচিত। মানে দেবতাদের দেশ। 

 প্রাচীনকালে পৌরব, কুষাণ, কুন্ডিন, গুপ্ত, গুর্জর-প্রতিহার, পাল, চন্দ বংশের রাজারা এই রাজ্যের শাসনভার সামলেছেন। তবে পরবর্তীকালে শিখ ও ইংরেজরা এই রাজ্য শাসন করেছে। বহু প্রাচীন মন্দির ও বৌদ্ধ বিহার রয়েছে এই রাজ্যে। তবে পর্যটকরা এই রাজ্যে বারবার ফিরে আসেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতেই।

এই নিবন্ধে উত্তরপ্রদেশে জনপ্রিয় পাঁচটি পর্যটন কেন্দ্রের তথ্য দেওয়া হল-

১. ল্যানডোর: উত্তরাখণ্ডের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি হল ল্যানডোর। ভারতের বিখ্যাত লেখক রাসকিন বন্ড জন্মেছিলেন এই শহরেই। দেরাদুন শহর থেকে ল্যানডোর-এর দূরত্ব বেশি নয়। পাহাড়ে ঘেরা এই শহরটিতে সারা বছরই যে কোনও সময় ঘুরে আসা যায়। ট্রেন ও বিমানবন্দর দুই ধরনের ব্যবস্থাই রয়েছে এখানে পৌঁছনোর।

Dehradun

২. দেরাদুন: দেরাদুন, কেউ কেউ ডাকে ‘দেহরাদুন’। উত্তরাখণ্ডের রাজধানী শহর। শুধু মাত্র উত্তরাখণ্ডের নয়, সমগ্ৰ উত্তর ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় শহর হল দেরাদুন। রামায়ণ ও মহাভারতে উল্লেখ রয়েছে এই দেরাদুনের। এছাড়াও দেরাদুন শহরটি সৌন্দর্যের জন্যেও যথেষ্ট জনপ্রিয়।

৩. মসৌরি: উত্তর ভারতের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি হল মাসরি। এই শহরেই অবস্থিত বিখ্যাত গাড়োয়াল পর্বতমালা। এছাড়াও লেক মিস্ট রয়েছে বোটিং করার জন্য, রোপওয়ে ইত্যাদি। এই শহরে যাওয়ার আদর্শ সময় সেপ্টেম্বর থেকে জুন মাস।

Uttarakhand-Jim-corbet

৪. জিম করবেট ন্যাশনাল পার্ক : দেশের বিখ্যাত টাইগার সাফারি পার্কগুলির মধ্যে অন্যতম হল জিম করবেট ন্যাশনাল পার্ক। এই ন্যাশনাল পার্কের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এছাড়াও ৬৫০ প্রজাতির পাখি ও অন্যান্য জীবজন্তু দেখা মিলবে এখানে। বর্ষাকাল ছাড়া সারা বছরই পর্যটকদের জন্য খোলা থাকে এই ন্যাশনাল পার্ক।

Uttarakhand-Char-Dham

৫. চার ধাম: চার ধাম হিন্দুদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তীর্থ। কেদারনাথ মন্দির, বদ্রীনাথ মন্দির, গঙ্গোত্রী মন্দির ও যমুনাত্রী মন্দির এই চার ধাম মিলিয়ে চারধাম। যার মধ্যে কেদারনাথে পূজিত হন মহাদেব। বদ্রীনাথে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা হয়। অন্যদিকে গঙ্গোত্রী মন্দিরে মা গঙ্গার পূজিত হন ও মা যুমনার পুজো করা হয়। বছরের মে থেকে জুন ও সেপ্টেম্বর অক্টোবর পর্যন্ত প্রচুর ভক্তদের ভিড় লক্ষ্য করা যায় এখানে। 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...