ঝকঝকে স্মার্টনেস, তুখোড় বুদ্ধি সম্পন্ন বাঙালি গোয়েন্দা ফেলু মিত্তিরের তুলনা তিনি নিজেই। এখনও বাঙালিদের কাছে গোয়ান্দা-দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনিই। সেই দুঁদে গোয়েন্দাই নাকি দিব্যি উটের পিঠে চড়ে তাঁর তীক্ষ্ণ দুই সঙ্গী- শ্রীমান তোপসে আর শ্রীমান জটায়ুকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন খোদ শহর কলকাতার প্রান্তে। হ্যাঁ, বেশ কিছুদিন আগে 'ফেলুদা' স্রষ্টা, চিত্রনির্মাতা সত্যজিৎ রায়কে শ্রদ্ধা জানিয়ে হিডকো ঠিক এমনই এক 'থিম পার্ক' তৈরি করেছে নিউ টাউনে।
সবকিছুতেই এখন কব্জা করে বসেছে 'থিম'। 'ফেলুদা' থিম কে কেন্দ্র করে কলকাতায় তাই তৈরী হয়েছে একখানা আস্ত ‘সোনার কেল্লা উদ্যান’। চারিদিকে পেল্লায় পেল্লায় বহুতল আবাসন, তার মাঝেই কিছুটা জায়গা জুড়ে নিয়েছে খোলা মেলা বাতাস আর রঙচঙে গোয়েন্দা গল্প। পার্কে রয়েছে দু'টি প্রবেশ পথ।
পার্কের বিভিন্ন জায়গায় তুলে ধরা হয়েছে ফেলুদা-তোপসে-জটায়ুর নানা কীর্তির কথা। পার্কের ভিতরে রয়েছে সবুজ ঘাসের গালিচা। ছোট–বড় হরেক রকম গাছ। বালির ওপর দিয়ে সওয়ারি নিয়ে এগিয়ে চলেছে উট।
সামনে এগোলেই দেখা যাবে ঝর্না। সেটিকে ঘিরে বসার জায়গাও রয়েছে। তবে তার গায়ে টাইলসে লেখা ফেলুদা–তথ্য ঝর্নার বাড়তি আকর্ষণ। ওই উদ্যানে প্রাতর্ভ্রমণকারীদের জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে।
ক্লান্ত হয়ে পড়লে বসতে হবে ঢাক, তবলার ওপর! বেশ কয়েকটি বসার জায়গা তৈরি হয়েছে বাদ্যযন্ত্রের আকারে। আবার কোনওটি দেখে মনে হবে সেগুলি তৈরি হয়েছে বাঁশ দিয়ে। কচিকাঁচাদের জন্য রয়েছে দোলনা, স্লিপ, ঢেঁকি। সেগুলির রঙের বাহারও রীতিমত তাক লাগানো। তাই ছোটদের মনোরঞ্জনের জন্য তো বটেই, বড়রাও ক্ষণিকের জন্য মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারেন ফেলুদা, তপসে আর জটায়ুর সঙ্গে এই 'থিম' পার্কে।