দাদুর কবরস্থানে এসে কেক কেটে দাদুর জন্মদিন পালন করলেন পতৌদির নবাব মহম্মদ মনসুর আলি খানের একরত্তি নাতনি ইনায়া। সঙ্গে ছিলেন ইনায়ার বাবা-মা সোহা আলি খান ও কুণাল খেমু। এই সুন্দর মুহুর্ত ফ্রেমবন্দী করেছেন সোহা।
২০১১ সালে মারা গিয়েছেন পতৌদির নবাব মহম্মদ মনসুর আলি খান। ভারতীয় ক্রীড়া জগতে তিনি ‘টাইগার’ নামে পরিচিত। কিন্তু দাদুর জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা না জানালে কীভাবে চলবে! তাই রবিবার সকালে নিজের লেখা চিঠি আর কেক নিয়ে দাদুর কবরের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল ইনায়া। সবুজ লতাপাতার মাধখানে শ্বেত পাথরের জাফরি ঘেরা সেই সমাধিফলকে লেখা রয়েছে— ‘আমার মৃত্যুর পর আমাকে ভালবেসো, আর আমাকে মরতে দিও না’। এই কথাই সত্যি করল তার পরিবার।
নবাব মহম্মদ মনসুর আলি খানের কন্যা সোহার সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেছে, বাবার কবরের সামনে স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে বাবার জন্মদিন পালন করছেন তিনি। সাথে রয়েছে ছোট্ট এক টুকরো সাদা কেক, তার উপরে কমলা রঙের গাজর আঁকা। কেকের উপর বসানো মোমবাতিতে ফুঁ দিলেন সোহা, কুণাল ও ইনায়া। তার পর সেই কেক তাঁরা বসিয়ে দিলেন সমাধি ক্ষেত্রের উপর। তবে এখানেই শেষ নয়, কেকের পাশ থেকে উঁকি মারছে নাতনির চিঠি। সেখানে লেখা রয়েছে, “শুভ জন্মদিন, মেরি ক্রিসমাস এবং শুভ নববর্ষ। আশা করি তুমি ভাল আছ। তোমাকে খুব ভালবাসি। তোমার জন্মদিন খুব আনন্দে কাটাও। অনেক ভালবাসা, ইনায়া।”
১৯৪১ সালে ৫ জানুয়ারি নবাব মহম্মদ মনসুর আলি খানের জন্ম। তবে ইনি বেঁচে থাকলে ২০২৫ এ এসে আজ তাঁর বয়স হত ৮৪। তাই ইনস্টাগ্রামে সেই ছবির ক্যাপশনে সোহা লিখেছেন “আজ ৮৪”, সঙ্গে একটি লাল হৃদয়ের ইমোজি। এই পোস্ট তুমুল ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটাগরিকেরা এই মিষ্টি মুহুর্তকে অনেক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।