গঙ্গার আরেক নাম সমাজসেবী। সে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আর তাই তার শত্রুরও অভাব নেই। গোকুলধামের মানুষদের ভাল করাই তার লক্ষ্য।
গোকুলধামের সবাই কালী পুজো দেখতে হাজির। ওই সময়ই ঝুনঝুনওয়ালা বস্তিবাসীদের কাছ থেকে টাকা আর বাসস্থান কেড়ে নিতে উদ্যত হয়। প্রতিবাদ জানায় গঙ্গা। মতানৈক্য তৈরি হয় দুজনের মধ্যে। গঙ্গাকে তাক করে কেউ ঢিল ছোঁড়ে। গদাই গঙ্গার মাথায় ব্যান্ডেজ করে দেয়।
ওদিকে চিনি গোকুলধামে ফিরে আসায় অবাক হয় সবাই।
দাদাঠাকুর গঙ্গার সামনে বস্তির লোকদের কথা দেয় যে সে তাদের ঝুনঝুনওয়ালার হাত থেকে বাঁচাবে।
বিষ্ণুর সহায়তায় গঙ্গা কোর্ট থেকে অর্ডার নিয়ে থানায় হাজির হয়। সব দিক সামলে বস্তি উচ্ছেদ আটকায় গঙ্গা। গোকুলধামের মানুষজনেরা গঙ্গার নামে জয়ধ্বনি দিতে শুরু করে। দাদাঠাকুরের মাথা ফের নড়ে চড়ে বসে। সে ঠিক করে গদাই আর গঙ্গার বিয়ে দেবে। আর এই বিয়ে দেওয়ার একটাই উদ্দেশ্য গঙ্গাকে নজরবন্দি রাখা। গঙ্গা সেটাও জানে।
দাদাঠাকুর ঘোষণা করে গঙ্গা আর গদাইয়ের বিয়ে এই মাসেই দেবে। এই খবরে খুশির বন্যা বইতে শুরু করে। কিন্তু বিয়েটা কি সুস্থভাবে সম্পন্ন হবে শেষ অবধি? নাকি দাদাঠাকুরের এর পিছনেও কোনও চক্রান্ত কাজ করছে? নাকি নতুন শত্রু এসে হাজির হয়েছে গঙ্গার জীবনে?
গঙ্গার বিয়ের খবরে খুশি কমলাও। সে গঙ্গাকে ভাল ভাল রান্না করার আদেশ দেয়। কিন্তু গঙ্গার দ্বারা তো রান্নাবান্না হয় না। কিন্তু সে নিজের সঙ্গে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় যে সেও একদিন ভাল রান্না করবে। আর তাই সে গদাইকে রান্নার বই কিনতে বলে।
ওদিকে বিষ্ণু, গঙ্গা আর গদাইকে গণ বিবাহ দেখতে যেতে বলে। কমলা পিসির কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে গঙ্গা আর গদাই রওনা দেয়। কিন্তু হঠাৎই সেই গণ বিবাহ বন্ধ করার নির্দেশ দেয় দাদাঠাকুর। কেন এই সিদ্ধান্ত? এর পিছনেও কি লুকিয়ে আছে কোনও ষড়যন্ত্র? জানতে হলে প্রতিদিন রাত ৯ টায় দেখতে হবে 'গ্যাংস্টার গঙ্গা' সান বাংলায়।