সোশ্যাল মিডিয়ার ‘নেগেটিভ’ দিক থেকে বাঁচবেন কীভাবে?

সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া জীবন ভাবাই যায় না। অনেকেই চ্যাটরুমকে ঘর বাড়ি বানিয়ে ফেলেছে। দিনের এমন একটা মিনিটও যায় না, যখন আঙুল দূরে থাকে ফোন স্ক্রলিং থেকে।
তাতে যেমন অন্য পৃথিবীর দরজা খুলে যাচ্ছে তেমনি আশঙ্কা বাড়ছে মানসিক জটিলতাও। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা সচেতনও করেছেন সে নিয়ে। অ্যাংজাইটি, ডিপ্রেশন, চারপাশের জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার প্রবনতা ক্রমশ বাড়ছে। সহজ স্বাভাবিক সামাজিক বোধ চলে যাচ্ছে মানুষের মধ্যে। সে ক্রমশ নিজের তৈরি করা মনোজগতের মধ্যে বাস করতে বেশি উৎসাহী হয়ে উঠছে।
কিন্তু মানুষের ভালো থাকায় সামাজিক মেলামেশা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকের মতেই সোশ্যাল মিডিয়া ক্রমশ একা করে দিচ্ছে মানুষকে। তবে এক কথায় সোশ্যাল মিডিয়াকে ‘খারাপ’ বা ‘ভালো’ কিছুই বলা যায় না।
সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। এই নিরাপদে থাকার বিষয়টিকে বলা হচ্ছে ‘সেফ সোশ্যাল’।
সোশ্যাল মিডিয়ার ‘নেগেটিভ’ দিক থেকে বাঁচতে বেশ কিছু পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেকেই ব্যক্তিগত সমস্যার কথা লিখে থাকেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সে বিষয়ে বিভিন্ন মতামত চলে। বহু মানুষ পরামর্শ দিয়ে যান। একটা সময় নিজস্ব ভাবনা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা একেবারে চলে যায়। সংশয় বাড়ে। আর ভাবনাকে প্রভাবিত করে সোশ্যাল মিডিয়ার মতামত।
মন, মগজ, হৃদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের শারীরিক পরামর্শদাতার দায়িত্ব পালনের কাজটাও করে থাকে। ডায়েট প্ল্যান, ওষুধ, চিকিৎসার পরামর্শ সবই চলতে থাকে সেই পরামর্শ মতো।
সোশ্যাল মিডিয়ার এতটাই ক্ষমতা যে সে মানুষকে হাসাতে পারে, কাঁদাতে পারে, তার মুড বদলের অনুঘটক হয়ে উঠতে পারে। এই পরিস্থিতি যদি আপনারও হয়ে থাকে তাহলে এখনই সচেতন হন। নিজের মনের নিয়ন্ত্রণ সোশ্যাল মিডিয়ার হাতে তুলে দেবেন না, সচেতন করছেন মনোবিদরা।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...