ক্যালেন্ডারের পাতা বলছে বসন্ত এসে গেছে| কিন্তু উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু অঞ্চলে এখনও শীত বিদায়ের নামগন্ধ নেই, উল্টে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে শীত| ফাল্গুনেও বরফের চাদরে এখনও মুড়ে রয়েছে ধোতরে, টাইগার হিল, সান্দাকফু, টংলুর মতো এলাকা| দার্জিলিং জেলার পাহাড়ি গ্রামগুলোর ঘরবাড়ি, গাছপালা, পথঘাট সব এখন ঢাকা পড়েছে সাদা বরফের আস্তরণে| আর এই অসময়ে বরফ পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই মন ভরে গেছে পর্যটকদের| আজও সকালে ব্যতিক্রমী তুষারপাতে সাক্ষী থেকেছে সান্দাকফু, টংলু, টাইগার হিল, ধোতরে| তবে শৈলশহর দার্জিলিং জলপাইগুড়ি, কোচবিহার জেলায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে| কার্শিয়াং, কালিম্পংয়ের কোথাও কোথাও তুষারপাত হয়েছে বলে খবর মিলেছে|
বরফের দেখা মিলতেই অনেকেই দার্জিলিং কার্শিয়াং, কালিম্পং ছেড়ে রওনা দিচ্ছেন দার্জিলিঙের প্রত্যন্ত কিছু গ্রামের দিকে| ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে শান্ত নির্জন অফবিট ডেস্টিনেশনগুলি এখন পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্য| তার সঙ্গে বাড়তি পাওনা ভরা বসন্তে বরফ| সান্দাকফু ট্রেক করতে যাওয়ার পথে টংলু গ্রামটি পড়ে| এই গ্রামটি এখন পর্যটকদের কাছে খুবই পছন্দের| পাহাড়ের সৌন্দর্য এখানে এখনও অকৃত্রিম| পাহাড়ি গ্রাম ধোতরেও এখন টংলুর মত জনপ্রিয়| ধোতরের মূল আকর্ষণ কাঞ্চনজঙ্ঘার মনভোলানো রূপ| আর সান্দাকফুতো ট্রেকিংপ্রিয় মানুষের অন্যতম প্রিয় ডেস্টিনেশন| নির্জনতা আর নিসর্গকে সঙ্গী করতে চাওয়া পর্যটকদের আপাত গন্তব্য হয়ে উঠেছে দার্জিলিংয়ের অদূরে অবস্থিত এই গ্রামগুলি|
উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি সিকিমেও চলছে তুষারপাত। উত্তর সিকিম ছাড়াও রাজধানী গ্যাংটক ও ছাংগুতেও শিলাবৃষ্টি ও তুষারপাত উপভোগ করছেন পর্যটকরা।