এবারে দেশের সর্বত্র জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। বহুদিন পর এমন ঠান্ডা পড়েছে, সকলেই তা উপভোগ করছেন। আমাদের রাজ্যেও তার অন্যথা হচ্ছেনা। কলকাতাতে পাঁচ-ছয় বছর পর এরকম ঠান্ডা পড়েছে। উত্তরবঙ্গেও ঠান্ডায় কাঁপছে সকলে। পাহাড়ে বৃষ্টি ও তুষারপাতের প্রভাবে তরাই সংলগ্ন শিলিগুড়ি, ডুয়ার্সের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে কনকনে ঠান্ডা পড়েছে। শুক্রবার ২৮ তারিখে দার্জিলিঙের সব জায়গায় তুষারপাত দেখল স্থানীয় মানুষ এবং পর্যটকরা। দীর্ঘ ১০ বছর পর তুষারপাত হল এখানে। দার্জিলিং-এর সঙ্গে সঙ্গে নেওড়াভ্যালি ও কালিম্পঙেও এদিন তুষারপাত হয়েছে। শহরের সিংমারী এলাকায় সবচেয়ে বেশি তুষারপাত হয়েছে। ২০০৮ সালে শেষবারের জন্য শহরে তুষারপাত দেখেছিল দার্জিলিং-এর মানুষ। যে তুষার সরাতে পুরো এক সপ্তাহ সময় লেগেছিল। ২৮ তারিখ জলপাহাড়, টাইগার হিল, ঘুম ও জোড়বাংলো সব জায়গায় এদিন তুষারপাত হয়েছিল। দুপুর ১টা নাগাদ প্রথম হালকা তুষারপাত হয়, সেই সময় দার্জিলিং শহরে তুষার দেখা যায়নি। ঘুম, জোড়বাংলার দিকে তুষারপাত হয়েছিল। পরে বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা আরও নামতে শুরু করে। বিকেল নাগাদ শৈল শহরের আরও বিভিন্ন এলাকা থেকে তুষারপাতের খবর আসতে থাকে, শেষবিকেলে দার্জিলিঙে বেশ শিলাবৃষ্টি হয়। শিলাবৃষ্টি নিয়ে সকলে আনন্দে মেতে উঠতে উঠতেই তুষারপাত হতে দেখা যায়। বাতাসিয়া লুপেও ভালোই তুষারপাত হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় পাহাড়ে আরও তুষারপাত ও বৃষ্টি হতে পারে।
অন্যদিকে, সিকিমের বিস্তীর্ন এলাকাতেও তুষারপাত হয়েছে। উত্তর সিকিমের কিছু এলাকায় এতটাই তুষারপাত হয়েছে, যে যানবাহন অব্দি তুষারের নিচে চাপা পড়েছে। সিকিম সরকার বাধ্য হয়ে উত্তর সিকিমে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।