স্বাস্থ্যসাথী স্মার্ট কার্ড

হুগলি জেলার তারকেশ্বরে সম্প্রতি একটি সরকারি কর্মসূচিতে মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেসব প্রকল্প উদ্বোধন করলেন তাদের ভিতর অন্যতম স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নারীর ক্ষমতায়নকে সমর্থন জানাতে রাজ্য সরকারের  স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পটি বিশেষ ভূমিকা রাখতে চলেছে। এই প্রকল্প ব্যবহারকারী হবেন একমাত্র পরিবারের গৃহকর্ত্রীরাই। এই প্রকল্পের আওতায়  স্বাস্থ্যসাথী স্মার্ট কার্ড -এর মাধ্যমে  একজন গৃহকর্ত্রী তার স্বামী-সন্তান, নিজের মা-বাবা এবং শশুর শাশুড়িরও চিকিৎসা করাতে পারবেন যে কোন সরকারি বেসরকারি নার্সিং হোম-হাসপাতালে। 

স্বাস্থ্যসাথী স্মার্ট কার্ডের ব্যবহারে সাধারণ রোগীর ক্ষেত্রে দেড় লক্ষ টাকা এবং বড় অসুখের জন্য সর্বাধিক পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা বীমার সুবিধা পেয়ে থাকবেন। তারকেশ্বরের সরকারি সভায় তিনি এই প্রকল্প এবং স্মার্ট কার্ডটির কথা ঘোষণা করেন।  এই দিন মুখ্যমন্ত্রীর কথা শোনার জন্য অসংখ্য মানুষ  জড়ো হয়েছিল যাদের একটা বিরাট অংশ জুড়ে ছিল মহিলারাও । মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসাথী স্মার্ট কার্ড -এর ঘোষণা শুনে উচ্ছ্বাস প্র্কাশ করেন তাঁরা। মমতার সভায় অংশগ্রহণের ভিড় সামলে উঠতে বেশ হিমশিম খেতে হয় কর্মরত পুলিশদেরও। জনতার ব্যাপক সমাগমে বেশ খুশী  হয়েছে শাসকদল।

তারকেশ্বরে স্বাস্থ্যসাথী স্মার্ট কর্ডের সাথে একই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী রানি রাসমণি গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিলা উন্মোচন করেন।  উলুবেড়িয়াতে মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেওপিডি  উদ্বোধন  করেন।

বারাসাত, তমলুক, আরামবাগ, ঝাড়গ্রামে প্রস্তাবিত মেডিকেল কলেজের  শিলান্যাস করে। চলতি বছরের মাটি উৎসবের সূচনাও হয় এই মঞ্চেই।  মমতা এইদিনি চাষিদের কৃষক সম্মান কৃষক রত্ন প্রদান করেন। সবকিছু মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার উপভোক্তার হাতে সরকারি পরিষেবা তুলে দিল রাজ্য সরকার। । 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী এবং সবুজ সাথী প্রকল্পটি ইতিমধ্যে বিশ্বদরবারে সম্মান কুড়িয়েছে। এছাড়াও  সমব্যাথী, শিশুসাথী , রূপশ্রী , যুবশ্রী ইত্যাদি রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সাথে এইবারে যুক্ত হতে চলেছে স্বাস্থ্যসাথী স্মার্টকার্ডটি।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...