বস্তিবাসীদের হাতে তুলে দেওয়া হল ফ্ল্যাটের চাবি

বাগবাজারের মা সারদামনির বাসভবন 'মায়ের বাড়ি'র সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের অধীনে সেখানকার বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন দেওয়া হল তাদের হাতে নতুন ফ্ল্যাটের চাবি দিয়ে। ৩৫টি আবাসনের চাবি তুলে দেওয়া হল বস্তিবাসীদের মধ্যে। যেহেতু সৌন্দর্যায়নের কাজ হচ্ছে, তাই বস্তিবাসীদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারই পুনর্বাসনস্বরূপ ওই ফ্ল্যাট প্রকল্প। শনিবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত মেয়র জানান, প্রথম ধাপে ৩৫টি ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়েছে, ধাপে ধাপে বাকিগুলোও হস্তান্তর করা হবে। ছ'মাসের মধ্যে সমস্ত ফ্ল্যাট বস্তিবাসী পেয়ে যাবেন। ওই অঞ্চলে জেএনএনইউআরএম (জওহরলাল নেহেরু ন্যাশনাল আরবান রিনিউয়াল মিশন) প্রকল্পে কাজ শুরু করেছিল পুরসভা, যখন তৃণমূল কংগ্রেস পুরবোর্ডের ক্ষমতা দখল করেছিল। কিন্তু, ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় এলে ওই প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়। কেন্দ্রের তরফে প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেলেও যাতে মায়ের বাড়ি এবং বস্তি উন্নয়নের কাজ থেমে না থাকে, তাই রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তায় বস্তি উন্নয়নের কাজ চালু রাখে পুরসভা। প্রায় ৪ বিঘা পাঁচ কাঠা জমিতে ৩০ কোটি টাকা খরচ করে চলছে বস্তি উন্নয়নের কাজ। ১৫টি ব্লকে ৩০০টি ফ্ল্যাট থাকছে। কোন ফ্ল্যাটের নির্মাণে কত সময় লাগবে তা বোর্ড ঝুলিয়ে বলে দেওয়া হবে। আবাসন প্রকল্প সম্পন্ন হলেই মায়ের বাড়ির কাজ শুরু হবে।

        এছাড়াও মেয়র পদে বসার পরদিনই তিনি জানিয়েছিলেন, শহরের দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনাই অগ্রাধিকার পাবে পুরসভার কাছে। সেইমতো কেউ তার নিজস্ব জমিতে গাছ লাগালে ৯০%কর ছাড় পাবেন। এদিন মেয়র বলেন, কলকাতা পুরসভা, কলকাতা বন্দর এবং রেলের অব্যবহৃত জমিতে গাছ লাগাতে চায়। আবার যদি তাদের জমিতে তারা নিজেরাই গাছ লাগায়, তাহলে সেই উদ্যোগকেও স্বাগত জানাবে পুরসভা। কলকাতা সংলগ্ন গঙ্গার পাড়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের অনেক অব্যবহৃত জমি রয়েছে, আবার রেলেরও ফাঁকা জমি রয়েছে মাঝেরহাট, তারাতলা এবং টালা এলাকায়। এই ফাঁকা জমিগুলিতে বনসৃজন করলে বায়ুদূষণ অনেকটাই কম করতে পারা যাবে বলে মনে করছে পুরসভা।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...