ঘুম না আসার সমস্যায় ভোগেন এমন লোকের সংখ্যা খুব কম নয়। সারাদিনের পরিশ্রমের পরও যখন ঘুম আসেনা তখন অনেক মানুষ বাধ্য হন ওষুধের শরণাপন্ন হতে। অনেক মানুষ এমন আছেন যাদের ঘুমের ওষুধ না খেলে ঘুম আসেনা। আর এই রোজ ঘুমের ওষুধ খাওয়ার অভ্যাসই আমন্ত্রণ জানাচ্ছে অকাল মৃত্যুকে। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই কিছু তথ্য।
গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, অতিরিক্ত মাত্রায় ঘুমের ওষুধ খেলে সমস্যা হয় স্নায়ুতন্ত্রে। এছাড়াও অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধের ফলে হতে পারে হার্টের সমস্যাও। মার্কিন গবেষক ড্যানিয়েল ক্রিপকে জানান, যেসব মানুষ বছরে ১৩২ টিরও বেশি ঘুমের ওষুধ খান তাদের শরীরে স্নায়ুরোগ থেকে শুরু করে উচ্চ রক্তচাপ, মাথা যন্ত্রনা, হৃদরোগের মতো নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। গর্ভবতী অবস্থায় যে মায়েরা বেশি পরিমানে ঘুমের ওষুধ খান তাদের গর্ভস্থ সন্তানের যথেষ্ট ক্ষতির আশংকা থাকে। এমনকি বিকলাঙ্গ শিশুও জন্মাতে পারে। এছাড়াও বহুদিন ধরে একই ডোজের ঘুমের ওষুধ খাওয়ার ফলে ধীরে ধীরে শরীরে এই ডোজটির সাথে অভ্যস্ত হয়ে যায় তখন সেই ওষুধটি আর একই পরিমান কার্যকরী থাকেনা। তখন আরোও বেশিমাত্রার ওষুধ খেতে হয়। এইভাবে মাত্রা যত বাড়তে থাকে তার ক্ষতিকর প্রভাবও বাড়তে থাকে। ঘুমের মধ্যে নিঃশ্বাসের সমস্যা হয়ে হঠাৎ মৃত্যুও হতে পারে। বেশি মাত্রার ঘুমের ওষুধ খেয়ে পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমাতে না পারলে পরদিন দৈনন্দিন কাজে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সারাদিন ঝিমুনিভাব, মাথা যন্ত্রনা প্রভৃতি চলতে থাকে। একটি বিশেষ গবেষণা থেকে জানা গেছে, বেশি মাত্রার ঘুমের ওষুধ অনেকদিন ধরে খেতে থাকলে চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন, সংশয় প্রভৃতি সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। ২০১২ সালের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেখানে দেখানো হয়েছে, যারা প্রতিদিন ঘুমের ওষুধ খায় তাদের শরীরে ক্যান্সারের থাবা বসানোর সম্ভাবনা বেশি। অতিরিক্ত পরিমান ঘুমের ওষুধের ফলে শরীরের শ্বেত রক্তকণিকার পরিমান কমিয়ে দেয় তার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই নিজের শরীরকে সুস্থ রাখতে ঘুমের ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ওভার দা কাউন্টার(ওটিসি) মেডিসিন খাওয়া বন্ধ করুন। সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।