সব বাধা পেরিয়ে মঙ্গলে রোভার চালিয়ে ইতিহাস গড়ল ভারতের মেয়ে!

তাঁর এই গল্প শুনলে মনের ভেতরে থাকা সেই স্বপ্নকে আবার লড়াই করে যেতার সাহস যোগায়। স্বপ্ন দেখায় সমস্ত মানুষদের যাদের স্বপ্ন অধুরা রয়ে গেছে। ছোটবেলা থেকে দেখে আসা স্বপ্নকে সত্যি করার জন্য তাঁর পেছনে মরিয়া হয়ে ছুটে বেড়ানোর সেই তাগিদ দেখিয়েছেন গোটা বিশ্বকে। তিনি নাসার উচ্চপদস্থ আধিকারিক ‘রকেট সায়েন্টিস্ট’ অক্ষতা কৃষ্ণমূর্তি। হাজার বাধা উপেক্ষা করে তাঁর এগিয়ে যাওয়ার কাহিনি মুগ্ধ করে সকল সাধারণকে।

তাঁর স্বপ্ন ছিল একদিন আকাশের চরিত্রদের নিয়ে কাজ করবেন। সাথে ইচ্ছে ছিল নাসায় চাকরি করবেন। বড় হয়ে সেই স্বপ্নকে সত্যি করেই তবেই দম ফেলল অক্ষতা। আজ তিনি নাসার স্থায়ী কর্মী। এই ভারতীয় তরুণী প্রথম মঙ্গলের বুকে রোভার চালিয়েছিলেন।

শুধু মঙ্গল নয়, অক্ষতা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছেন নাসার আরও একাধিক মহাকাশ গবেষণার সাথে।   এখন অক্ষতা হয়ে উঠেছেন প্রথম ভারতীয় নারী, যিনি সফলভাবে নাসা সংস্থার চেয়ারে বসে মঙ্গলগ্রহে রোভারের পরিচালনা করলেন।

photoqwqwq

১৩ বছর আগে নাসায় প্রথম চাকরি করতে ঢোকেন অক্ষতা। তার পরেই শুরু হয় তাঁর সাফল্যর পথ। জীবনে খুব সহজে সেই স্বপ্ন ছুঁতে পারেননি তিনি। লড়াই করে, হাল না ছেড়ে ইতিহাস তৈরি করে অক্ষতা।

তাঁর এই অসাধারণ প্রেরণাদায়ক গল্পই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন অক্ষতা। সেখানে তিনি এই অবিশ্বাস্য উত্তরণকে মোট ১১টি ধাপে ভেঙে তা জানিয়েছেন সকলকে। তিনি লিখেছেন, ‘‘আজ থেকে ১৩ বছর আগে আমেরিকার নাসা এসেছিলাম কাজ করতে। মঙ্গলগ্রহে বিজ্ঞান এবং রোবোটিক্স অপারেশনের অংশ হব, এই স্বপ্ন ছাড়া আরও কোনও কিছুই তখন আমার মাথায় ছিল না। যাঁদের সঙ্গে দেখা হয়েছিল, আমার কথা শুনে প্রত্যেকেই বলেছিলেন, এই কাজ আমার পক্ষে অসম্ভব। আমি যেন নিজের ‘ফিল্ড’ বদল করে নিই।’’

কিন্তু, তিনি ভয় না পেয়ে নিজের কাজে আরও মনোনিবেশ করেন। বুঝে গেছিলেন নিজের রাস্তা থেকে সরলে হবে না। তাঁর মতে, ‘‘বাইরের লোকের কথা না শুনে স্রেফ নিজের কাজটা মন দিয়ে করে যেতে হবে। একমাত্র তা হলেই দিনের শেষে আপনার সমালোচকদের আপনি ভুল প্রমাণ করার জায়গায় পৌঁছতে পারবেন।’’

এখানেই শেষ নয়। সুদূর ভারত থেকে নাসায় প্রবেশ। এটা নিয়েও বহু প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। তাঁকে বার বার মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করত সবাই। মাঝে মাঝে মন খারাপ হলেও, সেই কষ্টকে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন তিনি। সবার সেই প্রশ্নকে ভুল প্রমাণিত করে দেখিয়েছেন দিয়েছেন ভারতের এই তরুণী।

জানা গিয়েছে যে অক্ষতা পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন ‘ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’ (এমআইটি) থেকে। তারপর ক্রমশ নাসায় স্থায়ী রকেট বিজ্ঞানী হিসেবে জায়গা করে নেন। এমআইটি থেকে নাসায় যাওয়ার সেই রাস্তা মোটেই সহজ ছিল না। তাঁর কথায়, ‘‘সঠিক সুযোগের অপেক্ষায় শত শত দরজার কড়া নেড়েছি।’’

১৩ বছর আগে যে তরুণী বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে আমেরিকায় পা রেখেছিলেন, আজ সেই তরুণীর স্বপ্ন সফল। পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছেন তাঁর সাফল্য। সমাজমাধ্যমে সেই বার্তাই দিয়েছেন নাসার রকেট বিজ্ঞানী।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...