ঝলমলে সুস্থ ত্বকের রহস্য জল-ফল আর পর্যাপ্ত ঘুম

কথায় বলে দিনের শুরু যদি ঠিক করে হয় তাহলে সারাটা দিন সেই পথেই চলে। ত্বকের পরিচর্যার ক্ষেত্রেও এই কথা খাটে। ঝলমলে ত্বক পাওয়ার জন্য অনেকেই নিয়মিত স্যালো বা পার্লার যান। কিন্তু সবার সেই সময় থাকে না। অনেকে ‘রূপসজ্জায় অর্থ ব্যয় অনর্থক’ বলে মনে করেন।

কিন্তু দিনের শুরুতে সামান্য কিছু রুটিন মেনে চললে সুস্থ থাকবে ত্বক- এ একেবারে পরীক্ষিত সত্য। 

সকাল ঘুম থেকে উঠে আর রাতে শুতে যাওয়ার আগে-এই দু’ সময় ত্বকের যত্নে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

শীত বসন্তের সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেই সাধারণ ত্বকে টান লাগে। জল দিয়ে মুখ ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার ত্বকের সমস্যা অনেকখানি কমিয়ে আনবে।

এই নিয়ম ত্বকের জন্যও ভালো। জল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। রোম কূপ থেকে দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায় সহজে। ত্বকে ফুটে ওঠে সতেজ ভাব।

সারা রাত ঘুমানোর পর আমাদের ত্বক থেকে একধরনের তেল নিঃসৃত হয়। তৈলাক্ত ত্বকে খুব খারাপ ভাবে তার প্রভাব পড়ে। জমে থাকা তেল ব্রণ ফুসকুড়ির সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে। পুরো চেহারায় এর প্রভাব পড়ে। শুষ্ক ত্বকে নাকের পাশে অথবা মুখের কোনও নির্দিষ্ট অংশে তেল জমে থাকে। শুধু জল দিয়ে পরিষ্কার করলে সেই তেল যায় না। ফেসওয়াশ দিয়ে প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুখ হালকাভাবে মুছে নিতে হবে।

যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাঁরা চাইলে দুধ দিয়েও চেহারা পরিষ্কারের কাজটি করতে পারেন। এরপর ত্বকে তুলোর সাহায্যে টোনার দিতে হবে। টোনার মূলত ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল দূর করে, ত্বকের ব্রণ কমাতে সাহায্য করে, ঠিক রাখে ত্বকের পিএইচ লেভেল। কেউ চাইলে গোলাপজলও ব্যবহার করতে পারেন।

টোনার অথবা গোলাপজল দেওয়ার পর ত্বকে সেরাম ব্যবহার করতে পারেন। সেরাম ত্বকের বলিরেখা ঠিক রাখে, বাড়ায় উজ্জ্বলতা। তবে সেরাম ব্যবহার বাধ্যতামূলক নয়। এরপর ময়েশ্চারাইজার লাগানোর পালা। এর পরের ধাপে সানস্ক্রিন লাগান। এটি ব্যবহারের ১৫-২০ মিনিট পর বাড়ি থেকে বের হলে ভালো। শুধু মুখমণ্ডলেই নয়, হাতে–পায়েও পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্রিম লাগাতে হবে।

সকালে রূপচর্চায় যদি ১৫ মিনিট সময় ব্যয় করা যায়, তবে দিনের বাকি সময় ত্বক থাকবে সুরক্ষিত।

রাতে বাড়ি ফিরে ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক ভাল করে ধুয়ে নিন। রাস্তার ধূলোকণা তাও থেকে যায় ত্বকে। তাই ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। ময়েশ্চারাইজিং পর্ব সকালের মতোই এক। অনেকে নাইট ক্রিম ব্যবহার করেন। কিন্তু ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং রুটিন যদি এক থাকে তাহলে আর কোনও কিছুরই দরকার হয় না সেভাবে।

সুস্থ ত্বকের চাবিকাঠি বলা হয় জল ফল আর ঘুম। পরিমাণ মতো জলপান, তেলমশলা দেওয়া খাবার, স্ট্রিট ফুড যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা আর দিনে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা নিয়মিত ঘুম বদলে দিতে পারে আপনার ত্বক।   

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...