মকর সংক্রান্তি আসা মানেই শীতের যাওয়ার তাড়া। ঠিক এমনি সময় সমগ্র ইন্টারনেট জুড়ে রটে গেল এক বার্তা। যতই ঠান্ডা হাড় কাঁপাক, উষ্ণতার নিরিখে রেকর্ড গড়েছে গত বছর ২০১৮ সালটি। কেন্দ্রের ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিব 'মাধবন রাজীবন' ট্যুইটারে ট্যুইট করেন যে, ১৯০১ সাল থেকে উষ্ণতার হিসেবে শুরু করলে ২০১৮ সাল ষষ্ঠ স্থানে। আর সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগও। এছাড়া ২০১৮তে যে পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশে বিভিন্ন প্রান্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হচ্ছে। তবে সব থেকে বেশি দুর্যোগ হয়েছে উত্তর প্রদেশে। বন্যা থেকে শুরু করে ধূলিঝড় কিংবা শৈতপ্রবাহ থেকে বজ্রপাত প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৫৮০জন মানুষ। পশ্চিমবঙ্গে অতি বৃষ্টি ও বন্যার জন্য প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ১১৬জন। পরিবেশবিদরা উষ্ণতার ফলে তাপমাত্রা পাওয়ার কথা দীৰ্ঘ দিন ধরে বলে আসছেন। গত বছরে ইন্টার গভর্ণমেন্ট প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ এর দেওয়া রিপোর্টে জানাগিয়েছে, গড় তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলেছে।
ভারতের মতো ভৌগোলিক দিক থেকে বৈচিত্রময় দেশেও নানান রূপ দেখা যাচ্ছে প্রকৃতির। এ দেশে কাশ্মীরে তুষারপাত যেমন দেখা গিয়েছে ঠিক তেমনই রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশে দেখা গিয়েছে প্রাণঘাতী ধুলোর ঝড়। কেরল, তামিলনাড়ু, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গের মতো উপকূলীয় রাজ্যে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ।পরিবেশ সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধে গবেষকেরা লিখেছেন, এ বছর সমুদ্রের জলের উষ্ণতাও রেকর্ড গড়েছে। বছরের শেষে প্রশান্ত মহাসাগরের জলের তাপমাত্রা বেড়েছে অর্থাৎ ‘এল নিনো’ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এবার ভারত মহাসাগর এলাকাতেও ঘূর্ণিঝড় দেখাগিয়েছে। উক্ত বিষয়ে ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের বিজ্ঞানীরা জানান, বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের জলের তাপমাত্রা বেশি থাকাই এর অন্যতম কারণ। শীতের খামখেয়ালি মেজাজের জন্য পশ্চিমি ঝঞ্ঝার চরিত্র বদলকেই মূলত দায়ী করছেন আবহাওয়াবিদরা। এবছর গ্রীষ্ম কেমন চেহারা নেবে, তা নিয়েও ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়েগিয়েছে আবহাওয়া বিদদের মধ্যে।