সীতার জন্মভূমি তীর্থযাত্রীদের আলাদা মাহাত্ম্যে টানে

সীতা। ভারতীয় পুরাণকাহিনি অনুযায়ী পঞ্চ সতীর অন্যতমা। তাঁকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে মহাকাব্যের কাহিনি। মিথিলার রাজা জনকের কন্যা। রামের অর্ধাঙ্গিনী। রামায়নের প্রধান নারী চরিত্র। সতীতা নামের অর্থ ‘হলরেখা’। হলকর্ষণে উঠে এসেছিলেন ভূমি থেকে তাই তিনি সীতা। সীতা অযোনীসম্ভূতা। কথিত আছে, মিথিলারাজ পুত্রলাভের আশায় যজ্ঞের উদ্দ্যেশ্যে লাঙ্গল দিয়ে জমি আবাদ করছিলেন তখন লাঙ্গলের ফলায় একটি মাটির কলস উঠে আসে। কলসের ভিতর ছিল এক কন্যা সেই কন্যাই সীতা।

 

Sita1

 

এই কাহিনির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে বিহারের সীতামারাহই জেলা নাম। লোকবিশ্বাস এই জেলার মাটিতেই জন্ম হয়েছিল দেবী সীতার। এই ভূমি থেকেই শিশু কন্যারূপে উঠে আসেন তিনি।

রামায়ণের কাহিনি বলে জনককন্যার যখন ষোল বছর বয়স তখনই সেই তেজস্বীনী কন্যা ঘোষণা করেন যে শিবের দেওয়া হরধনুতে গুণ পরাতে পারবে তাকেই বিয়ে করবেন তিনি। সেই মতোই স্বয়ংবর সভার আয়োজন করেন পিতা জনকরাজ। অনেক রাজপুরুষ চেষ্টা করেন, তাঁরা কিন্তু সকলেই ব্যর্থ  হন। শেষ পর্যন্ত অয্যোধ্যা অধিপতি দশরথের পুত্র রাম হরধনুতে গুণ পরাতে সমর্থ হন এবং সীতাকে বিবাহ করেন।

 

Sita2

 

সীতামারাহই জেলায় আছে সীতাকুন্ড। ১৪০ ফুট গভীর গোলাকার এই জলাশয়টিকে ঘিরে প্রতিবছর উৎসবে মেতে ওঠে এই জেলা। লোক বিশ্বাস, এই কুন্ডে স্নান করেছিলেন দেবী সীতা। কুন্ড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জনকরাজ স্বয়ং। ‘পুনাওরা ধাম মন্দির’ও এই জেলাতেই অবস্থিত। জানকীনবমীতে ঢল নামে পুণ্যার্থীদের।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...