চেহেলসেতুনের উপর একের পর এক আছড়ে পড়ছে ঝড়। আর তার আঁচ যে ভাবেই হোক পেয়ে যাচ্ছে বেগম লুতফা। সিরাজ অবাক হয়ে যায় লুতফার বুদ্ধিমত্তাতে। ভাস্কর পণ্ডিতকে প্রথম দিন থেকেই সন্দেহ করছিল লুতফা। কিন্তু লুতফার কথায় কান দেয়নি সিরাজ। ভাস্কর পণ্ডিতদের বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল সিরাজ। আর তাতেই ঘটল বিপত্তি। চর হিসেবে তাদের মুন্সিয়ানাই বর্গিদের নিয়ে আসে কেল্লায়। তবে, শেষ অবধি লড়াইয়ে হেরে গিয়ে পিছু হটতে হয় সেই বর্গিদের। কেল্লার বাহিরমহল সামলেছিল সিরাজ, মোহনলাল এবং তাদের সেনারা। আর অন্দরমহল অর্থাৎ মহিলামহলকে শক্ত হাতে আগলে রেখেছিল বেগম লুতফন্নিসা। আর তাতে অবাক হয়ে যায় সকলে। ঘসেটি লুতফার কাঁধে মাথা ঠেকাতে নারাজ হলেও বর্গিরা মহিলামহলে ঢুকে পড়লে সেও লুতফার কথাতেই গুপ্ত ঘরে আশ্রয় নেয়।
ভাস্কর পণ্ডিতকে সিরাজ আটক করে। তার গর্দান নেওয়ার জন্য সিরাজ যখন প্রস্তুত তখন তাকে আটকায় লুতফা। কারণ এই আচমকা আক্রমণের পিছনে কাজ করছে এক বড় ষড়যন্ত্র। আর সেটা কে করছে তা জানাতে পারে একমাত্র ভাস্কর পণ্ডিত। ভয় পায় মীরজাফর। কারণ এই সব কিছুর পিছনে কলকাঠি নাড়ছে সে'ই। কিন্তু ভাস্কর পণ্ডিত যদি সব বলে দেয় তখন কী হবে! তাই সে ধীরে ধীরে ভাস্কর পণ্ডিতের দিকে এগিয়ে যায় এবং তাকে হত্যা করে। তার এই কাজের জন্য বেজায় রেগে যায় আলিবর্দি খাঁ।
তবে, বর্গিদের হাত থেকে কেল্লাকে বাঁচানোর আনন্দে নাচে-গানে মেতে ওঠার এবং সকলকে পুরষ্কৃত করার কথা ঘোষণা করে সিরাজ।
সিরাজকে মতিঝিলে গিয়ে সময় কাটাতে বলে সারফান্নিসা। সিরাজ রাজি হয়। সে লুতফাকে নিয়ে যেতে চায় সেখানে। প্রতিবাদ জানায় ঘসেটি। তার বক্তব্য, লুতফা গেলে সিরাজের বাকি দুই বেগম জেবুন্নিসা এবং ওমদাদ কেন যাবে না? লুতফা তাতেও রাজি হয়। কিন্তু তাতে সিরাজ খুশি হয় না। কারণ তিন বেগমকে নিয়ে মতিঝিলে যেতে চায় না সিরাজ। তার ইচ্ছা শুধুই লুতফা যাবে তার সঙ্গে। তাই গ্রাম পরিদর্শনের অছিলায় মতিঝিল যাওয়া বাতিল করে সে।
ওদিকে সিরাজের চোখে লুতফাকে খারাপ করে তোলার জন্য ফন্দি আঁটে ঘসেটি এবং জেবুন্নিসা। তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করতে মরিয়া হয়ে ওঠে জেবুন্নিসা। তারপর? না, বাকিটা জানতে হলে আগামী সপ্তাহের জন্য অপেক্ষা করতেই হবে।
'আমি সিরাজের বেগম' দেখুন সোম থেকে শুক্র রাত সাড়ে ৯ টায়, স্টার জলসায়।