ব্রিটিশ পাউন্ডে আসতে পারে জগদীশ চন্দ্র বসুর ছবি। ৫০ পাউন্ডের নতুন নোট আনতে চলেছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। পরিকল্পনা করা হয়েছে নতুন নোটে একজন বিজ্ঞানীর ছবি থাকবে। ব্রিটেনের বিজ্ঞান চর্চায় অবদান রেখেছে এমন একজন বিজ্ঞানীকে সম্মান জানানো হবে। ২০২০ সালে ব্রিটেনের বাজারে আসবে নতুন নোট।
শুরু হয়েছে মনোনয়ন পর্ব। প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ ৭৪ হাজার ১১২ জন বিজ্ঞানীর মধ্যে মনোনীত হয়েছেন বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু।
‘মিলিমিটার ওয়েভ’ নামক ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভের আবিষ্কার করে তিনি। এই মিলিমিটার ওয়েভ বর্তমানে মোবাইল কমিউনিকেশনের ৫জি টেকনোলজিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইন্টারনেট পরিষেবা এবং ওয়াই-ফাই এর ক্ষেত্রে যে টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছে, তার বীজ বুনে দিয়েছিলেন জগদীশ চন্দ্র বসু। তাঁর কাজের এই দিকটিকে আলোকপাত করা হয়েছে।
র্যাডার, টেলিভিশন এবং মহাকাশ যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই তরঙ্গের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
তরঙ্গ দৈর্ঘ্য খুব কম সময়েই যে কোন প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে এবং লাইন অব সাইট মেনে চলে। মানে উৎস থেকে গ্রহিতা সরাসরি যেতে পারে। তাই ৫জি, ফাইভ জেনারেশন টেকনোলজিতে ছোট ছোট এন্টেনা ব্যবহার করা হয়। যার মাধ্যমে ওয়েভ অর্থাৎ তরঙ্গের সাহায্যে মোবাইল ডাটা এবং নির্বিঘ্নে পৌঁছে দেওয়া যাবে গ্রাহকের কাছে
১৮৯৪ সালে কলকাতার টাউন হলে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বোস মিলিমিটার তরঙ্গ কীভাবে কাজ করে তার এক প্রদর্শনী। এই ক্ষুদ্রতরঙ্গের উপরে তিনি লিখেছিলেন ‘অদৃশ্য আলোক'(Invisible Light) নামক গ্রন্থটি।
ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশনের আমন্ত্রণে লিভারপুলে দেওয়া তাঁর বক্তৃতার বিষয় ছিল 'অন ইলেকট্রিক ওয়েভ্স'।
ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স তাঁকে রেডিও বিজ্ঞানের জনক হিসাবে অভিহিত করে।
১৯১৬ সালে ইংরেজ সরকার তাঁকে নাইট উপাধি দেন।
১৯২০ সালে তিনি রয়্যাল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন। জগদীশচন্দ্র বসুই ছিলেন প্রথম ভারতীয় যিনি রয়্যাল সোসাইটির সদস্যপদ পেয়েছিলেন।।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড- এর মনোনয়ন তালিকায় জগদীশ চন্দ্র বসু ছাড়াও আছে স্টিফেন হকিং-এর নাম। বিদায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের নামও শোনা যাচ্ছে। রাজনীতিতে আসার আগে বিজ্ঞান গবেষণায় যুক্ত ছিলেন তিনি।