মার্ভেল এর স্যান- চি সিরিজ এবার আসতে চলেছে সিলভার স্ক্রিনে। ১৯৭৩ সালে কমিকস হিসেবে প্রকাশিত হওয়ার পর এই প্রথম তার পর্দায় আসা। স্যান-চি’র ভূমিকায় থাকছেন সিমু লিউ।
স্যান- চি দ্য লেজেন্ড অফ টেন রিংস ছবিতে দেখা যাবে এই অভিনেতাকে।
তিনি জানিয়েছেন, ‘যখন আমি মার্ভেল থেকে প্রথম ফোনটা পেলাম কেঁদে ফেলেছিলাম। তারপরই মনে হল কাঁদছি কেন? জীবনে যে সুযোগটা পেয়েছি সেটা সারাজীবনের টার্নিং পয়েন্ট।’
মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের তিনিই প্রথম এশিয়ান সুপারহিরো।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৬ শতাংশ এশিয়-আমেরিকান মানুষ।তার মধ্যে মাত্র ১ শতাংশকে হলিউডে দেখা যায়।
লিউ কখনও ভাবেননি অভিনেতা হবেন।
৬ বছর আগেও তাকে ‘এক্সট্রা’ হিসেবে দেখা যেত। ছবির টাইটেল কার্ডে নাম পর্যন্ত যেত না।
সিমু লিউ ১৯৮৯ সালে হার্বিন এ জন্মান। চীনের যে শহরে লুই এর জন্ম সেই শহর সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত ঠাণ্ডার জন্য।
লুই এর বাবা-মা কানাডায় চলে আসেন এক সময়। লুই তাঁর দাদু-দিদার কাছে মানুষ।পড়াশোনা কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে।
কিন্তু খুব বেশিদিন চীনে থাকতে পারেননি লুই। তাঁকে ‘ইমিগ্র্যান্ট’ হয়ে চলে আসতে হয় কানাডাতে।
একটি সংস্থায় অ্যাকাউন্ট্যান্টের চাকরিও করতেন। ছোট থেকেই নানারকম ঝড়-ঝাপটার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে লুইকে। ছাত্র অবস্থাতেও যা পিছু ছাড়েনি। নিজের সম্বন্ধে লুই বলেন, ‘আমি শুধু খেয়াল রাখতাম কোনও ভুল যেন না করি।’
২০১৩ সালে প্রথম পর্দায় আসেন। জীবনের প্রথম বড় ব্রেক পান ২০১৫-তে। ব্ল্যাড অ্যান্ড ওয়াটার ছবি দিয়ে। ‘ক্রেজি রিচ এশিয়ান’, ‘দ্য ফেয়ারওয়েল’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
ছোটপর্দাতেও কাজ করেছেন। সবচেয়ে পরিচিত হন ওয়েব সিরিজের কমিক শো-তে অভিনয় করে।
স্যান- চি ২০২১ এ রিলিজ করবে। কমিকস প্রকাশ করবে ওই সময়েই।