মনে আছে ‘কোই মিল গয়া’ ছবিতে ভিনগ্রহের প্রাণী 'জাদু'র কথা? পৃথিবীবাসী রোহিত মেহেরার সাথে দারুন বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল তার। সিনেমার শেষে বন্ধুকে দুঃখ দিয়ে নিজের গ্রহে ফিরে যেতে হয়েছিল ভিনগ্রহের বন্ধুকে। সে কি আবারও ফিরে আসতে চাইছে? নাকি তার বন্ধু রোহিতকে সে মহাকাশ থেকে কোনো সংকেত পাঠাতে চাইছে? বিশ্বের এক জায়গায় এক বিস্ময়কর আলোর ছটা দেখা যাওয়ায় এই সন্দেহটি এখন ঘুরছে গবেষকদের মনে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই বিজ্ঞানীদের মনে প্রশ্নটি দানা বাঁধছিলো যে আদৌ কি দেখা পাওয়া যাবে ভিনগ্রহীদের? কিছুদিন আগের এক গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছিল, ভিনগ্রহীদের সংকেত পৃথিবীতে আসতে যা সময় লাগবে তাতে ধ্বংস হবে তাদের সভ্যতা। সেই অনুযায়ী ধরা হয়েছিল, আর কোনোদিনও দেখা মিলবে না এলিয়েনদের। কিন্তু এক বাঙালি অধ্যাপক শমী চট্টোপাধ্যায় এমন এক জিনিস আবিষ্কার করেছেন যার দ্বারা জোরালো হচ্ছে ভিনগ্রহীদের সংকেত পাঠানোর সম্ভাবনা। সম্প্রতি আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল সোসাইটির ২৩৩তম বৈঠকে উঠে এসেছে এক তথ্য যেখানে বলা হয়েছে এই বিশ্বের একটি বিশেষ স্থানে দুই মাসে মোট তেরোবার এক অদ্ভুত আলোর ছটা দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক জার্নাল 'নেচার'-এ প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায় বিশ্বের যে স্থানে এই ভিনগ্রহীদের আলো দেখা গেছে তা চিরস্থায়ী নয়। কিছুসময় অন্তর সেই আলো কে জ্বলতে নিভতে দেখা গেছে। গবেষণায় জানা গেছে, এইটুকু সময়তেই এই রশ্মি থেকে যে পরিমান তাপশক্তি বিকিরিত হয় তা সূর্যের আলোর থেকেও বহুগুন বেশি। ভিনগ্রহীদের এই আলো বিজ্ঞান জগতে পরিচিত 'ফার্স্ট রেডিও বার্স্ট' নামে যা প্রকৃতপক্ষ এক রেডিও তরঙ্গ। গোটা ব্রম্মান্ডে ছড়িয়ে রয়েছে এই তরঙ্গ যার থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০০০ থেকে ১০,০০০ আলোর ঝলকানি ঘটে থাকে কিন্তু পৃথিবী থেকে দূরে এটি সংঘটিত হওয়ার দরুন মানুষের দৃষ্টিগোচর হয় না। কোথাও কোথাও এই আলোর ঝলকানি হঠাৎ করে দেখা যায় আবার পরমুহূর্তে তা মিলিয়ে যায়। তাই অনেকেরই ধারণা, এই আলোর ঝলকানি আসলে ভিনগ্রহীদের ফাটানো আতসবাজির ঝলক মাত্র। এর আগেও পৃথিবীর নানা স্থান থেকে এই বিস্ময়কর আলোর দেখা মিলেছিল যা দেখা দিয়েই গায়েব হয়ে যায়। তাহলে প্রশ্ন হল, বিজ্ঞানীদের ধারণা নস্যাৎ করে 'জাদু' কি আবারও ফিরতে চাইছে পৃথিবীতে?