ওভারিয়ান ক্যান্সার বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার কী?

মহিলাদের ডিম্বানু সৃষ্টিকারী অঙ্গ অর্থাৎ ডিম্বাশয়, ইংরেজিতে ওভারিতে ক্যানসারের সংক্রমণ ঘটলে তাকে বলা হয় ডিম্বাশয় বা ওভারিয়ান ক্যানসার। ডিম্বাশয়ের কোনও কোষ নিজের মধ্যে অস্বাভাবিক দ্রুততায় বেড়ে টিউমার তৈরি করে, সেটিই ক্যানসারের চেহারা নেয়।   

সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না হলে এই ক্যানসার পেট এবং শ্রোণি অঞ্চলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে ওভারির ক্যানসারের লক্ষণ বোঝা যায় না। দেরী হলে নিরাময় কঠিন হয়ে যায়। ৪০-৬০ বছরের মহিলাদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বেশি। ঋতুবন্ধের পরে ওভারিয়ান ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। ডিম্বাশয়ের ক্যানসার সমস্ত স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত ক্যানসারের মধ্যে সবচেয়ে জটিল ও বিপদজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।  

ডিম্বাশয়ে জন্মানো ক্যানসারের বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। ডিম্বাশয়ের সারকোমা, এপিথিলিয়াল ডিম্বাশয়ের ক্যানসার, স্ট্রোমাল সেল ক্যানসার, জীবাণু কোষের ক্যানসার, এসসিও ইত্যাদি।

স্থূলতা, PCOD, থাইরয়েড ইত্যাদির মতো জীবনযাত্রার সমস্ত রোগের কারণে, মহিলাদের অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা শুরু হয়। তাই তাদের মনোযোগ সে দিকে যায় না যে এটা ওভারিয়ান ক্যান্সারের লক্ষণও হতে পারে। কিন্তু যদি দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা থাকে, প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে কোমর ও শ্রোণীর অংশে ব্যথা অনুভূত হয়, তাহলে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

দীর্ঘকাল ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, বদহজম, অ্যাসিডিটি ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।

প্রস্রাবে জ্বালাভাব, ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাবের সময় মূত্রাশয়ে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যাও মহিলাদের মধ্যে খুব সাধারণ। কিন্তু এমন সমস্যা যদি বারবার হতে থাকে, তাহলে তা হালকাভাবে নেওয়া উচিত নইয়। সময় মতো একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ঠিক কী কারণে ওভারিয়ান ক্যানসার হয়, তার নির্দিষ্ট কোনও একক কারণ জানা যায়নি। তবে এই ক্যানসারের বিপদজনক কারণ আছে একাধিক। জিনের সূত্রে। মানসিক চাপে। বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। ডিম্বাশয় বা স্তন ক্যানসার থাকার পারিবারিক ইতিহাসও হতে পারে এই রোগের অন্যতম কারণ।একটি সমীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে দু'জন বা তার বেশি পরিবারের সদস্যরা ডিম্বাশয়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন তারা এই রোগে ভুগতে পারেন।

ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের চিকিৎসার প্রধানত দুটি উপায় রয়েছে থেরাপিউটিক চিকিৎসা এবং সার্জারি।রোগীর বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা ক্যান্সারের ধরণ এবং ধরণের উপর নির্ভর করে। রেডিয়েশন থেরাপি, কেমোথেরাপি, হরমোন থেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি ইত্যাদির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়।

সরোজ গুপ্ত ক্যান্সার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট  দেশের অন্যতম সেরা ক্যানসার চিকিৎসা কেন্দ্র। একখানকার ওঙ্কলজি বিভাগে আধুনিকতম পদ্ধতিতে ক্যানসার নিরাময় করা হয়। আছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম। ওভারিয়ান ক্যানসারের চিকিৎসায় বিশিষ্ট গাইনোকলজিক ওঙ্কলজিস্টরা সুনামের সঙ্গে চিকিৎসা করে থাকেন।চিকিৎসা সংক্রান্ত বিশদ তথ্য মেলে সরোজ গুপ্ত ক্যান্সার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটে

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...