লাল গোলাপের রোম্যান্টিক আখ্যান

ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহ শেষ। শুরু হয়ে গিয়েছে ভ্যালেন্টাইন মাস। শীতের রেশ যাই যাই করে থেকে গেলেও বসন্ত কিন্তু কড়া নাড়ছে দরজায়। যেদিকে তাকাবে সেদিকে রঙের ছড়াছড়ি। মন বদলাতে সময় লাগে না চারপাশ দেখে।
লাল গোলাপ, কার্ড, গিফটের দোকানে উপচে পড়া ভিড়। যেভাবেই হোক জোগাড় করতেই হবে লাল গোলাপ। প্রেমিকযুগলদের কল্যাণেই যেন মন্দা ফুল বাজারের খুশির হাওয়া। ২০ টাকার গোলাপ ২০০ টাকা হলেও না নেই প্রেমিকের মনে। গোলাপ তো নয়, যেন কিং খানের সিনেমার ‘ফার্স্ট ডে-ফার্স্ট শো’ টিকিট! দাম যতই হোক কোনও ভাবেই ছাড়া যাবে না!
বিয়ে, জন্মদিন থেকে শুরু করে যে কোনও বিশেষ দিনেই সঙ্গী লাল গোলাপ। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কী কেন ভ্যালেন্টাইনস ডে’তে দিতেই হবে লাল গোলাপই?

আসলে ভালবাসার দিন ঘিরে লাল গোলাপের উন্মাদনায় লুকিয়ে আছে এক লম্বা ইতিহাসের গল্প।
তা জানতে পাড়ি দিতে হবে উনবিংশ শতকে। ভিক্টোরয়ান যুগ চলছে। সে সময় লাল গোলাপের বোকে খুব কদর পেত মানুষের কাছে।
টকটকে লাল গোলাপ পাঠিয়ে তরুণ তরুণীরা একে অপরকে বার্তা দিত যে দুজনে দুজনকে পছন্দ করছে। গোলাপ মানে ‘টান’। ‘প্যাশন’। বন্ধুত্ব আর খুশির চিহ্ন। সঙ্গে সাদা গোলাপ থাকলে আবার বদলে যায় পুরো মানেটাই।
গোলাপের ‘রোমান্টিক স্টেটাস’ বোঝাতে অভিধানে যোগ হয় নতুন শব্দ ‘ফ্লোরিওগ্রাফি’।
গ্রায় ৫ হাজার বছরের প্রথা। ইউরোপ থেকে ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব এশিয়া আর মধ্য প্রাচ্যে।
রোমের মানুষরা গোলাপ থেকে সুগন্ধি তৈরির কৌশলও আবিষ্কার করে ফেলে।
তবে ভ্যালেন্টাইনস ডে’তে গোলাপের মানে একটাই। যোগাযোগ।
সময় বদলেছে। বদলেছে ইতিহাসের গতি। মানুষের বিশ্বাস আর ভাবনাও এক জায়গায় থেমে নেই। কিন্তু লাল গোলাপ ঘিরে আবেগটা হাজার হাজার বছর ধরে থমকে আছে এক জায়গাতেই।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...