ভরা শ্রাবণে ভরে ওঠে মাঠ-ঘাট। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সঙ্গে সর্প উপদ্রবের ভয় পায় মানুষ। সাপ পূজিত হয় দেবতা হিসাবে। শ্রাবণে পূজিত হন নাগদেবতা। হিন্দু, বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্ম সম্প্রদায়ের মধ্যে নাগ দেবতার পুজোর চল দেখা যায়।
শ্রাবণ মাসের শুক্ল পক্ষে পঞ্চমী তিথিতে নাগ দেবতার পুজো হয়। এ বছর ৯ অগস্ট পালিত হতে চলেছে নাগ পঞ্চমী।
নাগ পঞ্চমী উদযাপন কীভাবে শুরু হল?
কথিত আছে, কুরুবংশীয় রাজা পরীক্ষিৎ তক্ষক নাগের কামড়ে মৃত্যু ঘটলে, তাঁর পুত্র জনমেজয় পৃথিবী সর্পশূণ্য করবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেন। তিনি সর্পযজ্ঞ শুরু করেন। সেই যজ্ঞে মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে কোটি কোটি সাপ যজ্ঞের পুড়ে মারা যেতে পারে। এমন সময়ে জরৎকারু মুনি ও মনসাদেবীর পুত্র আস্তিক এই নিষ্ঠুর যজ্ঞ বন্ধ করতে জনমেজয়ের কাছে উপস্থিত হন। তাঁরই হস্তক্ষেপে জনমেজয় এই ভয়ংকর কর্ম বিরত হন। যেই দিনটিতে সর্পযজ্ঞ বন্ধ হয়, সেই দিনটি ছিল শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী। সেই দিন থেকেই এই পূজার প্রচলন।
মানব এবং সর্পকুল উভয়েই যাতে রক্ষা পায় তার জন্যই এই উদযাপন। এই দিন নাগদেবতার পুজো করা হয়। দুধ, হলুদ, গোময়সহ আরও নানা সামগ্রী নিবেদন করা হয়।
গোটা উত্তর ভারত জুড়ে পালিত হয় নাগ পঞ্চমী । কাশীর কুস্তির আখড়া গুলোতে সর্পোপাসনা দেখবার মতো। বাংলায় এ দিন মা মনসার বিশেষ পূজা শুরু হয়। দক্ষিণ ভারতে পূজা শুরু হয় অমাবস্যার দিন। পঞ্চমীর দিন হয় মূল পুজো।