রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারতের প্রধান দল অস্ট্রেলিয়া উড়ে গিয়েছে বিশ্বকাপ খেলতে। অন্যদল লড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একদিনের ট্রফি জেতার লক্ষ্যে।
এক দিনের সিরিজ়ে সমতা ফেরালেন শিখর ধাওয়ানরা। দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে সাত উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল ভারত। বল হাতে ডেথ ওভারে দাপট দেখালেন মহম্মদ সিরাজ। ব্যাট হাতে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেললেন ঈশান কিশন এবং শ্রেয়স আইয়ার। প্রথম ম্যাচে অর্ধশতরানের পর দ্বিতীয় ম্যাচে শতরান করেন শ্রেয়স।
রাঁচীতে ১১১ বলে ১১৩ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেললেন শ্রেয়স। ম্যাচে জয়ের রানটিও আসে তাঁর ব্যাট থেকেই। ম্যাচ শেষে সেই শ্রেয়স বলেন, "সত্যি বলতে আমি যখন ব্যাট করতে নেমেছিলেন, ভেবেছিলাম চালিয়ে খেলব। কিন্তু ঈশানের (কিশন) সঙ্গে কথা বলি। ঠিক করি বল বুঝে খেলব। যেমন বল আসবে সেই অনুযায়ী খেলার সিদ্ধান্ত নিই আমরা। সেই ভাবে খেলেই জিতলাম।"
এক সময় ভারতীয় দলের চার নম্বরে শ্রেয়স আইয়ারের জায়গা পাকা ছিল। কিন্তু ক্রিকেটে সাদা বলের লড়াই জমে ওঠে। উঠে আসেন অনেকে। কখনও সূর্যকুমার যাদব রান করে দেন, কখনও দীপক হুডা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মূল দলেই জায়গা হয়নি শ্রেয়সের। রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিনিই শতরান করে দলকে জেতালেন।
শ্রেয়স জানিয়েছেন, বোলার অনুযায়ী নিজের খেলা বদলে ফেলার ভাবনা থাকে না বলেই। তিনি বলেন, "কে বল করছে, সেই অনুযায়ী ব্যাট করি না। নিজের মতো খেলি। নেটে ব্যাট করার সময় নিজের খেলায় যে অনেক কিছু পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছি তা নয়। ম্যাচেই পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেকে পাল্টাই।"
আগামীকাল মঙ্গলবার(১১ অক্টোবর)দিল্লিতে তৃতীয় একদিনের ম্যাচ আয়োজন করা হবে। আপাতত ফলাফল ১-১। ম্যাচ শেষে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের অধিনায়কের নজর সেই দিকে। শ্রেয়স বলেন, “সোমবার আমরা দিল্লি যাব। মঙ্গলবার খেলতে নামতে হবে। দেখা যাক দলকে কী ভাবে চাঙ্গা রাখা যায়।”
রবিবার টস জিতে ভারতকে বল করতে পাঠান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক কেশব মহারাজ। ম্যাচে টেম্বা বাভুমা খেলেননি। তিনি অসুস্থ বলে জানান মহারাজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাভুমার রান না পাওয়া চিন্তায় রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। রবিবার ওপেন করতে নেমে কুইন্টন ডি'কক রান পাননি। মহম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। মাত্র ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন ডি'কক।
পাওয়ার প্লে-র মধ্যে অন্য ওপেনার জানেমন মালানকেও হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাঁর উইকেট নেন বাংলার শাহবাজ আহমেদ। ভারতের জার্সিতে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন শাহবাজ় আহমেদ। পাওয়ার প্লে-তেই বল করার দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। বাঁহাতি স্পিনার শাহবাজ় যদিও এই কঠিন পরীক্ষার মুখে ঘাবড়ে যাননি। তাঁর বোলিং দেখে ধারাভাষ্যকাররাও বলছিলেন যে, মনেই হচ্ছে না প্রথম ম্যাচ খেলছে। ম্যাচ শেষে শাহবাজ়ের প্রশংসা করলেন শিখর ধাওয়ানও।
ভারতের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ১০ ওভার বল করে একটি উইকেট নিয়ে দিলেন ৫৪ রান। অলরাউন্ডার শাহবাজ়ের বোলিংয়ে মুগ্ধ অধিনায়ক ধাওয়ান। তিনি বলেন, "দলের বোলারদের নিয়ে আমি খুশি। বিশেষ করে শাহবাজ়। প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে ও যে ভাবে বল করেছে এবং উইকেট এনে দিয়েছে সেটার প্রশংসা করতেই হবে।" বাংলার অলরাউন্ডারের প্রথম আন্তর্জাতিক শিকার দক্ষিণ আফ্রিকার জানেমন মালান।
দশম ওভারে ৪০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে টেনে নিয়ে যান রিজ়া হেন্ড্রিক্স এবং এডেন মার্করাম। তাঁরা ১২৯ রানের জুটি গড়েন। সেই জুটি ভাঙেন সিরাজ। ৭৬ বলে ৭৪ রান করেন আউট হন হেন্ড্রিক্স। ক্যাচটি নেন শাহবাজ়। তাঁর জায়গায় ব্যাট করতে নেমে ২৬ বলে ৩০ রান করে আউট হয়ে যান হেনরিখ ক্লাসেন। মার্করাম ৮৯ বলে ৭৯ রান করেন।
ডেথ ওভারে ভারতের বোলারদের দাপটে খুব বেশি রান তুলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ডেথ ওভারে ভাল বল করেন মহম্মদ সিরাজরা। শেষ আট ওভারে মাত্র তিনটি চার মারতে পারেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। ক্রিজে ডেভিড মিলারের (৩৫ রানে অপরাজিত) মতো ব্যাটার থাকলেও রান ওঠেনি বেশি। এক দিকে মিলারকে দাঁড় করিয়ে রেখে, অন্য দিক থেকে একের পর এক ব্যাটার সাজঘরে ফেরেন। সিরাজ একাই নেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন শাহবাজ়, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব এবং শার্দূল ঠাকুর। ৫০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা তোলে ২৭৮ রান।
সেই রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে-র মধ্যে ভারতও নিজেদের দুই ওপেনারকে হারায়। শিখর ধাওয়ান ২০ বলে ১৩ রান করে আউট হন। ২৮ রান করেন শুভমন গিল। ভারতের অধিনায়ককে ফেরান ওয়েন পার্নেল। নিজের বলে নিজে ক্যাচ নিয়ে শুভমনকে ফেরান কাগিসো রাবাডা। ভারতকে সেখান থেকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান ঈশান কিশান এবং শ্রেয়স আয়ার। ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন কাজে লাগে। আগের ম্যাচে শ্রেয়স আয়ার অনেকটা পিছনে খেলতে নেমেছিলেন। কিন্তু এই ম্যাচে নিজের পছন্দের চার নম্বরে নামেন তিনি। ফলে প্রথমে কিছু বল খেলে তার পর হাত খোলা শুরু করেন তিনি। অনেকটা সময় পান শ্রেয়স। ঈশান কিশনের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে শ্রেয়স আয়ারের ১৬১ রানের জুটি। ডান হাতি, বাঁ হাতি জুটি দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের সমস্যায় ফেলে। শতরানের থেকে মাত্র ৭ রান দূরে থামতে হয় ঈশানকে। মহারাজের বলে হেন্ড্রিক্সের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ৮৪ বলে ৯৩ রান করেন ঈশান। সাতটি ছক্কা এবং চারটি চার মারেন তিনি।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে ঈশানকে প্রশ্ন করা হয়, সিঙ্গলস না নিয়ে তিনি কেন বড় শট খেলার চেষ্টা করছিলেন। জবাবে ঝাড়খণ্ডের ব্যাটার বলেন, ''কোনও কোনও প্লেয়ারের শক্তি এক-দু'রান নেওয়া। আবার কোনও প্লেয়ারের শক্তি ছয় মারা। কেউ আমার মতো সহজে ছক্কা মারতে পারে না। আমি খুব সহজে ছক্কা মারি। ওটাই আমার শক্তি। যদি আমি সহজে ছক্কা মারতে পারি, তা হলে খামোখা এক-দু'রান কেন নিতে যাব?''
তবে সেই সঙ্গে ঈশান স্বীকার করে নিয়েছেন, কোনও কোনও ম্যাচে পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে গেলে একটু সাবধানী ইনিংস খেলতে হয়। তিনি বলেন, ''অনেক সময় অবশ্য এক-দু'রান নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যখন খুব তাড়াতাড়ি উইকেট পড়ে গিয়েছে তখন নেমেই বড় শট খেলার ঝুঁকি নেওয়া যায় না। তাই সে ভাবেও নিজেকে তৈরি করি। কিন্তু আমার সামনে যদি ছয় মারার বল আসে তা হলে আমি মারবই।''
রাঁচীতে ছয় মারতে গিয়েই আউট হয়েছেন ঈশান। নইলে ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম শতরান করতে পারতেন এই বাঁ হাতি ব্যাটার। তাতে কোনও আফসোস নেই ঈশানের। তিনি বলেন, ''আমি এক-দু'রান নিয়ে শতরান পূর্ণ করতে পারতাম। কিন্তু আমি কোনও দিনই নিজের জন্য খেলি না। আমি দেশের কথা ভাবি। দেশের সমর্থকদের কথা ভাবি। আইপিএলেও আমি ৯৯ রানে আউট হয়েছি। তখন ২ বলে ৫ রান দরকার ছিল। আমি ইচ্ছা করলেই এক রান নিয়ে শতরান করতে পারতাম। কিন্তু আমি দলকে জেতানোর কথা ভেবেছি। এতে আমার কোনও আফসোস নেই।''
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দু'উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে শ্রেয়স আয়ারের সঙ্গে ঈশানের ১৬১ রানের জুটি দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যায়। ৮৪ বলে ৯৩ রান করে আউট হন ঈশান। বিয়র্ন ফরচুনকে ছয় মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন তিনি। আউট হওয়ার পরে ক্রিজেই হাঁটু মুড়ে বসে পড়েন ঈশান। অবশ্য শতরান না পেলেও হতাশ নন ঈশান। তিনি জানিয়ে দিলেন, ভবিষ্যতেও এ ভাবেই খেলবেন তিনি।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের এক দিনের সিরিজে হার দিয়ে শুরু করে ভারত। প্রথম ম্যাচে শিখর ধাওয়ানের নেতৃত্বে ভারত হারে ৯ রানে। ঐ ম্যাচে চারটি ক্যাচ ছাড়েন ভারতীয় ফিল্ডাররা। শুরু করেছিলেন শুভমন। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে খোঁচা মারেন জানেমন মালান। স্লিপে দাঁড়িয়ে সহজ ক্যাচ ছাড়েন শুভমন। নইলে প্রথম ওভারেই উইকেট পেয়ে যেতেন শার্দুল ঠাকুর। তার পরে ম্যাচের ৩৭তম ওভারের প্রথম বলে ডেভিড মিলারের ক্যাচ ছাড়েন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ক্যাচটি কঠিন হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ক্যাচ ধরতে দেখা যায় ফিল্ডারদের।
পরের ওভারে জোড়া ক্যাচ পড়ে। প্রথমে হেনরিখ ক্লাসেনের ক্যাচ ছাড়েন সিরাজ। তাঁর তালুতে লেগে বল বাইরে বেরিয়ে যায়। শুয়ে পড়ে অনেক চেষ্টা করেও সেই বল আর তালুবন্দি করতে পারেননি তিনি। পরের বলেই বড় শট মারতে যান মিলার। এ বার তাঁর ক্যাচ ছাড়েন রবি বিষ্ণোই। তিনি বুঝতেই পারেননি বল কোথায় পড়বে। তাই শেষ পর্যন্ত বলের কাছেই পৌঁছাতে পারেননি তিনি। পর পর দু'বলে ক্যাচ পড়ায় হতাশ দেখায় বোলার আবেশ খানকে।
কিন্তু সেই ওভারেই এক বলবয় দেখাল, কী ভাবে ক্যাচ ধরতে হয়। ওভারের চতুর্থ বলে আবার মিড উইকেটের উপর দিয়ে বড় শট খেলেন মিলার। বল গিয়ে পড়ে বাউন্ডারির বাইরে। সেখানে এক বলবয় দাঁড়িয়ে ছিল। সে সহজে বল তালুবন্দি করে। তার ক্যাচ ধরা দেখে দর্শকরাও হাততালি দেন। এমনকি ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মঞ্জরেকর বলে ওঠেন, এত ক্ষণে বল ঠিক ফিল্ডারের কাছে গিয়েছে।
ভারতের একাধিক ব্যাটারের বিরুদ্ধে মন্থর ব্যাটিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। সঞ্জু স্যামসন অবশ্য সেই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁর যুক্তি, মাত্র দু'টো বড় শটের ব্যবধানে হেরেছেন তাঁরা। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। মূলত তাঁর ৬৩ বলে ৮৬ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদেই জয়ের কাছাকাছি পৌঁছয় ভারতীয় দল। নিজের ইনিংস নিয়ে খুশি সঞ্জু। তিনি বলেছেন, ''উইকেটে সময় কাটাতে সব সময় ভাল লাগে। ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে থাকলে আরও বেশি ভাল লাগে। আমরা সব সময় জেতার লক্ষ নিয়ে খেলি। মনে হয় আর দু'টো ভাল শট মারতে পারলেই আমরা জিতে যেতাম। একটা ছয় আর একটা চার মারলেই হত। পরের ম্যাচে এই পার্থক্যটুকু মুছে ফেলতে চাই আমরা।''
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের প্রশংসা করেছেন সঞ্জু। তিনি বলেছেন, ''দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা বেশ ভাল বল করেছে। শুধু তাবরেজ শামসি একটু বেশি রান দিয়েছে। আক্রমণের জন্য আমরা মূলত ওকেই বেছে নিয়েছিলাম। শেষ ওভারে ২৪ রান বাকি থাকলেও তুলে নেওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। কারণ জানতাম শামসির এক ওভার বাকি। ওর ওভারে চারটে ছয় মারার আত্মবিশ্বাস ছিল আমার। সেই মতোই পরিকল্পনা করেছিলাম আমরা।''
দু'দলের খেলায় কী পার্থক্য দেখলেন? সঞ্জু বলেছেন, ''পার্থক্য তৈরি হয়েছে প্রথম ১৫ ওভারে। নতুন বলে দক্ষিণ আফ্রিকা আমাদের থেকে ভাল ব্যাটিং করেছে। তার পর ওরাও সহজে ব্যাটিং করেছে। শুরুর দিকে বল সুইং করছিল। ১৫-২০ ওভারের পর ব্যাটিং সহজ হয়ে যায়। আমি ৮০-র বেশি রান করলেও কিছু ভুল করেছি। এই ম্যাচ আমাদের শিক্ষা দিল। আশা করব পরের ম্যাচে আমরা একই ভুল করব না।''
ওয়ান ডে সিরিজ নিয়ে অবশ্য বিরাট কিছু ভাবনা চিন্তা চলছে, তা নয়। আসলে, পাখির চোখ এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে গিয়েছেন রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা। সকলের মন পড়ে সে দিকেই। তবে রাঁচিতে নামার আগে ভারতকে ভাবাচ্ছিলো টিমের বোলিং। লখনৌয়ের চল্লিশ ওভারের ম্যাচে বোলিং এবং ফিল্ডিং নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন স্বয়ং শিখর ধাওয়ান। বরং ব্যাটারদের লড়াইয়ে প্রশংসা করেছিলেন। আগের ম্যাচে মহম্মদ সিরাজ এবং আবেশ খান খুব ভালো বল করতে পারেননি।
ভারতে খেলতে এসে এক মর্মান্তিক খবরের সম্মুখীন হন ডেভিড মিলার। মিলারের পাঁচ বছরের ফুটফুটে মেয়ে মারা গিয়েছে। প্রোটিয়া ক্রিকেটার নিজেই ইনস্টাগ্রামে এই খবরটি জানিয়েছেন। বলেছেন, তাঁর মেয়ে ক্যানসার রোগে আক্রান্ত ছিল। দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তার ছোট্ট মেয়ে।
মিলার নিজের মেয়ের সঙ্গে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে লিখেছেন, ''আমার স্কাট, তোমার কথা সবসময় খুব মনে পড়বে! তোমার মধ্যে যে অসম্ভব একটা লড়াই করার ক্ষমতা ছিল, সেটা আর কারোর মধ্যে নেই। তুমি সবসময় ইতিবাচক ভঙ্গিতে হাসিখুশি থাকতেই ভালোবাসতে। তুমি আমাকে অনেককিছু শিখিয়ে গেলে।''
ডেভিড মিলার দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ভারত সফরে এসেছেন। টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে তিনি যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স করেছেন। সম্প্রতি টি-২০ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি ১০৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। এছাড়া ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচেও তিনি ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচেও অপরাজিত ৩৫ রান।
সিরিজ়ে সমতা ফিরলেও এখনও কাজ শেষ হয়নি। মঙ্গলবার দিল্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচ খেলতে নামবে ভারত।