বেলগাছিয়া ব্রিজের পাশেই লাল মন্দির। আম গাছের ছায়ায় নিরালা চত্বর যে কারও চোখ টেনে নেয়। শহরের ক্যাকফনি প্রবেশ করে না দিগম্বর জৈন সম্প্রদায়ের এই বিখ্যাত তীর্থ ক্ষেত্রটিতে। এই শহর তার ঋতু বদলের গন্ধ পাক না পাক পার্শ্বনাথ মন্দির চত্বর কিন্তু বুঝিয়ে দেয় ঋতু বদলের পূর্বাভাস।
উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়া অঞ্চলে ১৭৮৭ সালে ১৫ বিঘা জমির ওপর স্থাপিত হয় কলকাতার সবচেয়ে প্রথম এবং প্রাচীন জৈন দিগম্বর মন্দির। শ্রী পার্শ্বনাথ দিগম্বর জৈন উপবন মন্দির।
১৮৫৭ সালে মন্দির সংস্কার হয়। ১৯১৪ সালে এই মন্দিরের সংস্কারের কাজ হয়। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের স্থপতি মিস্টার ব্রাউন ছিলেন তার নেপথ্য কারিগর। প্রাচীন নাগারা শৈলীতে তৈরি হয় মন্দির। বেলগাছিয়ার মন্দির প্রাঙ্গণে রয়েছে ৮১ ফুট উঁচু মানস্তম্ভ।জৈন শিল্পকলা সংস্কৃতিচর্চার একটি সমৃদ্ধ সংগ্রহশালা আছে এখানে।
কার্তিক পূর্ণিমাতে পার্শ্বনাথ শোভাযাত্রা আয়োজিত হয়। ১৯০ বছর ধরে চলে আসছে এই প্রথা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জৈন সন্ন্যাসী এবং ভক্তরা সমাগত হন। বড় মন্দিরে শুরু হয়, শেষ হয় বেলগাছিয়ার পার্শ্বনাথ মন্দিরে।
ভারত বর্ষের প্রাচীন ধর্মগুলোর মধ্যে সম্ভবত জৈনরাই প্রথম কলকাতায় আসে। এই শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় তারা মন্দির স্থাপন করেছিল। বেলগাছিয়ার বিখ্যাত এই জৈন মন্দিরটিতে কেবলমাত্র স্বসম্প্রদায়ের মানুষরাই প্রবেশের অনুমতি পান। তবে ছাড় আছে বিদেশীদের।