প্রাথমিক স্কুল পড়ুয়াদের কাছে জুতো পৌঁছে দেবে রাজ্য সরকার। স্কুলে স্কুলে জুতো পৌঁছে দেবার ব্যাপারে জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকদের নির্দেশ পত্র পাঠিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। ভোটের আগেই জেলার স্কুলগুলোতে জুতো বিতরণের কাজ সম্পন্ন করতে চাইছে শিক্ষা দপ্তর। জুতো পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার সমর্থনের দিক থেকে লাভবান হতে পারে বলে ভাবছে রাজনৈতিক মহল কিন্তু সে অনুমান উড়িয়ে দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। এর আগেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জুতো পৌঁছে দেওয়া হয়েছে জেলার স্কুগুলোতে। এ বছরে মার্চ মাসের আগে জুতো না পৌঁছে দিতে পারলে, জুতো বিলি করতে আরো দেরি হয়ে যেতে পারে, তাই আগামী সপ্তাহের ভিতরেই প্রাথমিক স্কুল ছাত্রছাত্রীদের কাছে জুতো পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট জুতো পৌঁছে দেওয়া এবং এই সংক্রান্ত রিপোর্ট রাজ্যের কাছে পাঠানোর জন্য চিঠি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রশাসক চাপেশ্বর সর্দার। জুতো পাওয়ার সাথে সাথে নিয়ম মেনে বিদ্যালয়গুলিতে জুতো পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গত ৭ মার্চ থেকে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনার সৌমিত্র মোহন, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানা যায় শিক্ষা দপ্তর সূত্রে। এই চিঠিতে বলা হয়, চলতি বছরে চতুর্থ শ্রেণী থেকে সকল শ্রেণীতেই জুতো প্রদান করার ব্যবস্থা করা হবে। সার্কেল লেভেল অব্দি জুতো পৌঁছনোর ব্যবস্থা করবে টেক্সট বুক কর্পোরেশন। এই জুতো পড়ুয়াদের কাছে দ্রুত পৌঁছানোর দায়িত্ব নেবেন সকল এসআই-রা। সকল জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের আগামী শুক্রবার বিকেল ৩টের ভিতর এই সংক্রান্ত রিপোর্ট রাজ্যে পাঠিয়ে দিতে হবে। বিকেল ৫ টার ভিতরে চূড়ান্ত রিপোর্ট পাঠানো হবে উর্দ্ধতন কমকর্তাদের কাছে। এই কাজের জন্য ব্যক্তিগত ভাবে দায়ী থাকবেন প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকরা। রিপোর্টে দেওয়া ফরম্যাট অনুযায়ী তথ্য পাঠাতে হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এই তথ্য গুলি হবে তারিখ, জেলার নাম, জুতোর সংখ্যা, কত সংখ্যক জুতো সার্কেল ও স্কুল লেভেলে পৌঁছেছে ও তার মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের কত জুতো দেওয়া হয়েছে ইত্যাদি।
উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে প্রতি বছর ছাত্রছাত্রীদের পোশাক দেওয়া হয়। সম্প্রতি পোশাকের সাথে যুক্ত হয়েছে জুতো। এ বছরে শিক্ষাবর্ষের শুরুতে জুতো বিতরণ করতে দেরি হলেও আগামী সপ্তাহের ভিতরে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের কাছে জুতো পৌঁছে যাবে, বলে জানিয়েছেন প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি নীলকান্ত অধিকারী। দুই সেট করে পোশাকের জন্য আগে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ ছিল ৪০০ টাকা। এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০০ টাকা। পোশাকের সাথে জুতো পেয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে খুশি অভিভাবকরাও।