শিরোনাম পড়ে ভাবছেন তো, এ নেহাতই রসিকতা? 'এরকমটা কখনই সম্ভব নয়' যাঁরা এমনটা ভাবছেন তাঁদের উদ্দেশ্যে বলব, এই খবর একেবারেই 'ভুয়ো' অথবা নিছক 'রসিকতা' নয়। এ দেশে এমনটা না ঘটলেও, এ ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হয়েছে এক পাল ভেড়া! ব্যাপারটা হাস্যকর মনে হলেও এহেন কাণ্ড ঘটিয়েই বিশ্বজুড়ে এক উপযুক্ত দৃষ্টান্ত তৈরী করেছেন সেই স্কুল কর্তৃপক্ষ।
'স্কুলছুট' শব্দটার সঙ্গে আমরা কম-বেশি সকলেই পরিচিত। আমাদের দেশ অর্থাৎ ভারতে অঙ্গনওয়াড়ির তত্ত্বাবধানে সচেতনতা কিছুটা বাড়লেও এই 'স্কুলছুট'-এর প্রচলন এখনও কিন্তু রয়ে গিয়েছে ব্যপকার্থে, তবে শুধুমাত্র ভারত নয়, পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় অর্থনৈতিক অসাচ্ছন্দ এবং অসচেতনতার কারণে বেশ বড়সড় সংখ্যক জনপদ কিন্তু এখনও অশিক্ষার আঁধারে রয়ে গিয়েছেন। ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য এলাকাতেও রয়েছে একই সমস্যা; সেখানে পঠনপাঠনের জন্য স্কুল থাকলেও নেই পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী। ওই এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৬১ জন, কিন্তু এ সংখ্যা বিদ্যালয় সচল রাখার জন্য মোটেই উপযুক্ত নয় আর সেকারণেই ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ, অভিভাবকমণ্ডলী এবং এলাকার বিশিষ্টজনদের তরফে শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি করানো হয়েছে ১৫টি ভেড়াকে। কিন্তু পড়ুয়ার বদলে ভেড়া কেন?
15 moutons inscrits à l’école de Crêts en Belledonne contre la fermeture d’une classe et 65 dans la cour de récré.
— Valentine Letesse (@valentineletess) May 7, 2019
(Shaun 🐏 va en CM2 ! ) @bleu_isere https://t.co/YaPHoIvR6X pic.twitter.com/KxAv2B7oJ5