চিড়িয়াখানায় শালপাতা

কলকাতা চারদিকে এখন পরিবেশ দূষণ নিয়ে সরব হয়ে উঠেছে। আসলে, আমরা পরিবেশকে দূষিত করতে করতে এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গেছি, যে এখন পরিবেশ-ই আমাদের একহাত নিচ্ছে। কলকাতার বাতাস যথেষ্ট দূষিত হয়ে গেছে এটা স্বীকার করতেই হবে। তাই সব জায়গাতেই দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন রকম ভাবনা ভাবা হচ্ছে। কলকাতার শীতকালে উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যে যাতে দূষণের মাত্রা অস্বাভাবিক হয়ে না পড়ে তার জন্য চিড়িয়াখানায় থার্মোকল নিষিদ্ধ করল। প্লাস্টিক আগেই নিষিদ্ধ হয়েছিল চিড়িয়াখানায়, এখন থার্মোকল-ও নিষিদ্ধ হল। এবার থেকে পিকনিক করতে হলে চিড়িয়াখানায় শালপাতার প্লেট-ই একমাত্র ছাড় পাবে, এমনটাই জানিয়েছেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। আগামী মাসের শেষ কিংবা ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই থার্মোকলের প্লেট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। জঙ্গলমহলের শালবনী বনসুরক্ষা কমিটি থেকে পাঁচ হাজার শালপাতা কেনা হয়েছে। সেগুলিই চিড়িয়াখানায় বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানালেন অধিকর্তা আশীষ সামন্ত। চিড়িয়াখানার বাইরে থাকা হকাররা এগুলো বিক্রি করছেন, আবার ভেতরে নিরাপত্তারক্ষীদের কাছেও পাওয়া যাচ্ছে এই শালপাতা

    তবে প্রাথমিকভাবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর আধিকারিকেরা ভেবেছিলেন, আদৌ তেমন সাড়া পাওয়া যাবে কি না। কিন্তু সেই আশংকা দুর করে প্রথম দিন থেকেই ভালো সাড়া ফেলেছে এই সিদ্ধান্ত। মানুষকে এই ব্যাপারে জানাতে মাইকিং-ও করা হচ্ছে চিড়িয়াখানায়শালপাতা ব্যবহার শুরু করার ফলে জঙ্গলমহলের মানুষদেরও রোজগারের একটি রাস্তা তৈরী হবে বলে মনে করে যায়। আগামী দিনে চিড়িয়াখানার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শালপাতা পাওয়া যাবে। এইভাবে দূষণ রোধে চিড়িয়াখানার সিদ্ধান্তকে একটি অভিনব পন্থা সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...