অটোচালক আজ গবেষক, গর্বিত বাবা-মা

স্কুলের পর পড়াশোনা করেননি। মাছ বিক্রি করেছেন। পরিবারের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। আজ সেই ছেলেটিই কেরলের প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ধারী।

অনন্য এই যুবকের নাম অজিত কে পি। বছর তিরিশের অজিত সম্প্রতি থুনচাট এজুথাঞ্চান মালায়ালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক। সম্প্রতি ৯ জুলাই তাঁর গবেষণা শেষ করেছেন তিনি।  কঠোর শ্রমের সাধনায় আজ এই সাফল্য, অকপটেই জানালেন তিনি।

তিনি আরও জানালেন, এই সাফল্যের সম্পূর্ণ ভাগ তাঁর মায়ের। যিনি একা হাতে তাঁকে বড়ো করেছেন। বললেন, “মাত্র ৩ বছর বয়সে বাবা মা-কে ডিভোর্স দেন। তাঁর পর আমরা থাকতাম একতা ছোট্ট ঘরে। সে ঘরে কোনও বিদ্যুৎ ছিল না। মা আনারস খেতে কাজ করতেন। আত্মীয়রা মা-কে আরেকবার বিয়ে করতে বলতেন। কিন্তু মা আমাকে বড় করার জন্য কখনওই ভাবেননি সে কথা।“

৮ বছর বয়স থেকেই ছোট ছোট নানা কাজ করতেন অজিত। কারণ টাকার দরকার ছিল তাঁর পরিবারে। প্রথমে গাছের বাড়ন্ত ডাল ছেটে ফেলা, তার পর খনি অঞ্চলে কাজ করা। সন্ধায় একটু অবসর মিললেই মাছ বিক্রি। তা থেকে কখনো ১০০ তো কখনও ১৫০ টাকা। এ ভাবেই একদিন স্কুলে ফেরার তাগিদ বোধ করেন তিনি। তাঁর পর ধীরে ধীরে বন্ধুদের মতোই  একদিন স্কুলে ফিরলেন তিনি।

নিজের অতীতের কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও বললেন, “বন্ধু জবি আমায় পড়াশোনায় এগোনোর কথা বলেন। সে ভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই।“

আজও অটো চালাতে হয় তাঁকে পেটের তাগিদে। কিন্তু নেট পাশ করে আজ তিনি পিএইচডি ধারী। সাফল্যে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি তাঁর পরিবার।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...