বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া নিয়ম নয়, নিজের জন্য নিজের নিয়ম। ভাগ্যের হাতে নিজেকে ছেড়ে না দিয়ে নিজের তৈরি করা পথে চলা। আপনি নিজের জীবন এবং লক্ষ্য নিয়ে যা ভাবছেন তা কতটা বাস্তবায়িত হওয়া সম্ভব পুরোটাই নির্ভর করে ঠিক কোন জীবনযাত্রায় আপনি চলছেন তার ওপর। আর এখানেই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদিনের নিয়ম মেনে চলা।
রুটিন আর নিয়ম মেনে চলা মানুষের জীবনে ঠিক কতটা জরুরী তা হয়ে উঠতে পারে গবেষণার বিষয়।
কম বেশি সবার ছোটবেলাতেই নিয়ম মানার শিক্ষাটা শুরু হয় বাড়ি থেকে। বাবা-মা আর পরিবারের বাকি সদস্যদের দেখে। তারপর স্কুল। নিয়ম ভাঙলে শাস্তি। ‘স্কুল পানিশমেন্ট’ সকলের খারাপ লাগে। কিন্তু নিয়ম ভাঙলে শাস্তি যে কেন জরুরী তা সব সময় বোঝার বোধ না থাকলেও বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যায় নিয়মের গুরুত্ব।
নিয়মের বেড়া ভেঙে ফেললেই হাজার এক সমস্যা এসে আছড়ে পড়ে। যেমন দেরী করে ঘুম থেকে ওঠা। দেরীর করে ওঠার অভ্যাসে গোটা দিনে করার সময় যেমন কমে যায় তেমন সময়ের ব্যবহারও সঠিকভাবে হয় না। দিনের শুরু থেকে শেষ গোটা সাইকেলটাই ভেঙে পড়ে। এভাবে রোজ চললে ব্যক্তিগত জীবন এবং পেশাগত জীবনও নষ্ট হয়।
নিয়মের আসল কথা নিজের মন ও মগজের ঘড়িকে আয়ত্বে আনা। তবেই ‘বডিক্লক’ নিয়ন্ত্রণে আসবে।
করোনার সময়েও নিয়ম মেনে চলার গুরুত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাও জোর দিচ্ছে ‘নিয়ম বিধি’র ওপর। মাস্ক পরা, হাত ধোওয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা- বদলে যাওয়া সময়ের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে এই বিষয়গুলি। মানুষের যদি নিয়ম মেনে চলার অভ্যাস না থাকে তাহলে করোনার বিপদ থেকে বাঁচা দুষ্কর।
চিকিৎসকদের মতে, ‘যদি আমরা এখন না নিয়ম মেনে চলি তাহলে আর কবে মানব?’