খাতায় কলমে তিনি সিনিয়র সিটিজেন। ষাট পেরিয়ে গিয়েছেন দু’বছর আগেই। তবু তাঁর এনার্জি লেভেলের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে দম রাখতে পারেনা অনেক তরুণ অভিনেতা। টানটান ঋজু চেহারা। ঝকঝকে হাসি। সেই দিয়ে শুধু বলিউড নয়, তিনি জায়গা তৈরি করেছেন হলিউডেও।
বয়সের রেখা থাবা বসাতে পারেনি এতটুকু। তিনি অনিল কাপুর। এই মুহূর্তে বলিউডের অন্যতম সিনিয়র অভিনেতা। যাঁর কন্যা সোনম কাপুর।
ষাটের কোটা পেরিয়েও ‘তরুণ’ অভিনেতার ফিট থাকার মন্ত্রটা ঠিক কী অনেকেই জানতে চেয়েছেন।
এতদিন পর সে ব্যাপারে মুখ খুললেন অনিল। নিজের ‘ হাই এনার্জি’ সম্পর্কে বলতে গিয়ে সমস্ত ক্রেডিট দিয়েছেন ইডলি, দোসা সম্বর,রসমের মত দক্ষিণী খাবারকে।
তেল, মশলা বিহীন খাবার, পরিমিত আহার এবং ঘড়ির কাঁটা মেনে খাবারের অভ্যাস তাঁকে এভারগ্রিন করে তুলেছে।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে এমন কী আছে দক্ষিনী খাবারে যা সুস্থ থাকার চাবিকাঠি হয়ে উঠেছে অভিনেতার।
ডায়েটিশিয়ানরা অনিলের কথাকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁদের মতে খাবারের সহজপাচ্যতার ওপর মানুষের অনেকটা সুস্থতা নির্ভর করে। দক্ষিণী খাবারে তেলমশলা কম থাকে। তাই সহজ পাচ্য। এই ধরনের খাবার হজম হতে কম এনার্জি ক্ষয় হয়।
সেদ্ধ খাবারে নিউট্রিশন ভ্যালু অনেক বেশি থাকে। যা এনার্জির মাত্রা অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। তাই দক্ষিণী খাবার যে স্বাস্থ্যকর স্বচ্ছন্দে বলা যায়।
শুধু সেদ্ধ খাবার বলে নয়, দক্ষিণী খাবের নারকেল এবং নারকেল তেলের ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। স্বাস্থ্য, ত্বক, চুলের উজ্জ্বলতায় কাজ দেয়।
দোসা, উত্তাপমে যেস্ব উপাদান ব্যবহার করা হয় তা শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। এই ধরনের খাবার একই সঙ্গে লো-ক্যালরি। শরীরে প্রোটিনের মাত্রাকে ব্যালেন্স করে।
রসম সম্বরে ডালের সঙ্গে বিভিন্ন রকম সবজি, দই, নারকেল জল, নারকেল দুধ ব্যবহার করা হয়। একই সঙ্গে এত রকম উপাদান আর কোনো খাবারে এভাবে পাওয়া যায় না।
নিউট্রিশিয়নিস্ট এবং ডায়েটশিয়ানরা দক্ষিণী খাবারকে স্বাস্থ্যের খনি বলেছেন।