প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ শহরে আসছেন। বেশ কয়েকটি কর্মসূচী রয়েছে তাঁর এই সফরে। তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভিক্টোরিয়ার রয়্যাল গ্যালারিতে একটি অয়েল পেইন্টিং-এর উন্মোচন। দীর্ঘ ২৫ বছর পর ওই অয়েল পেইন্টটি সাধারনের জন্য উন্মপচিত হবে। উল্লেখ্য, এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অয়েল পেইন্ট।
রাশিয়ান শিল্পী ভ্যাসিলি ভেরেশাগিন 'জয়পুর প্রসেশন' নাম একটি ছবি এঁকেছিলেন যার আয়তন ছিল ২৩ফুট X ১৭ ফুট। সেখানে দেখানো হয়েছিল হাতির ওপর বসে মিছিলে চলেছেন রাজা সপ্তম এডওয়ার্ড এবং জয়পুরের মহারাজা, তাঁদের অনুসরণ করছেন ব্রিটেনের রাজনীতিবিদ স্যার আলফ্রেড লয়াল ও তাদের সঙ্গে সঙ্গে আসছেন জয়পুর রাজসভার আধিকারিক এবং বিশিষ্টজনেরা। জাতীয় ভবন নির্মাণ কর্পোরেশনের এক আধিকারিক জানান, এই বিরাটাকারের ছবিটি না সরিয়ে গোটা হলটির সংস্কার করা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। তুলনায় ছোট ২০০ কেজি ওজনের একটি পেইন্টিং সরানো হয়েছিল হল সংস্কারের সময়। এছাড়াও রয়্যাল গ্যালারিতে জয়পুর প্রসেশনের পাশে ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহে তাঁতিয়া টোপী পরিহিত যুদ্ধ পোষাক এবং চুলের গুচ্ছ রাখা হয়েছে সাধারনের জন্য। প্রধানমন্ত্রী আরও একটি গ্যালারির উন্মোচন করবেন, যেখানে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ভারত মাতা' রয়েছে এবং বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যে ডেস্কে বসে 'বন্দে মাতরম' লিখেছিলেন, সেই ডেস্কটি রয়েছে।
কারেন্সি বিল্ডিংটি যথেষ্ট নিপুণতার সঙ্গে সংস্কার করা হয়েছে। এখানে বাংলার শিল্পকলার তিন শতক দেখানো হচ্ছে। 'ঘরে বাইরে' নামে একটি প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলার শিল্পকলার গভীরতা এবং বৈচিত্র দেখানো হবে বলে জানালেন যাদুঘর এবং সাংস্কৃতিক স্থান উন্নয়ন (শিল্প মন্ত্রক)-এর সিইও রাঘবেন্দ্র সিং। এছাড়াও ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে অবস্থিত বেলভেডর এস্টেট-এর বেলভেডর হাউস-এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। মেটকাফে হাউসে ভারতের পুরাতত্ব সর্বেক্ষণের কলকাতা শাখা কলকাতা এবং তার ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে, যেটিরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে গ্যালারির আধুনিকীকরণের কাজের জন্য ৫৯ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্দ হয়েছে। বেলভেডর এস্টেটটি সংস্কার করতে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।