প্রথম দফার পর এবারে দ্বিতীয় দফার ভোট হবে আগামীকাল। বৃহস্পতিবার ১২টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৬টি কেন্দ্রে দ্বিতীয় দফার লোকসভার নির্বাচন। মঙ্গলবার শেষ হল প্রচার। তামিলনাড়ুর ৩৮টি আসনে, কর্ণাটকের ১৪টি, মহারাষ্ট্রের ১০টি, উত্তরপ্রদেশের ৮টি, অসম, বিহার এবং ওড়িশায় যথাক্রমে ৫টি আসনে নির্বাচন। এছাড়া ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গে ৩টি করে জম্মু এবং কাশ্মীরে ২টি। মণিপুর, ত্রিপুরা এবং পুদুচেরিতে ১টি করে আসনে ভোট হবে। এদিন ১৫কোটি, ৭৯ লক্ষ, ৩৪ হাজারেরও বেশি ভোটদাতা ১,৬২৯ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ১ লক্ষ ৮১ হাজারেরও বেশি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
আগামীকাল জলপাইগুড়ি(সংরক্ষিত), রায়গঞ্জ ও দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের জন্য অতিরিক্ত সিআরপিএফ মোতায়েন করার আবেদন জানিয়ে আসছিল বিরোধী দলগুলি। রায়গঞ্জ পুরসভা নির্বাচন ও গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ আগে থেকেই করে আসছে বিরোধী দলগুলি। সেই কথা মাথায় রেখে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের জন্য ৬৪ কোম্পানি সিআরপিএফ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। প্রতিটা কেন্দ্রেই যাতে নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করা যায় তার চেষ্টা করছে প্রশাসন।
পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের অন্যত্র দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফার নির্বাচনী প্রস্তুতি পর্যালোচনা করার জন্য মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার শ্রী সুনীল অরোরা এবং অন্য দুই নির্বাচনী কমিশনার শ্রী অশোক লাভাসা এবং শ্রী সুনীল চন্দ্র ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১৫এপ্রিল বিভিন্ন রাজ্যে সাধারণ পর্যবেক্ষক, পুলিশ পর্যবেক্ষক এবং ব্যায় সংক্রান্ত পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোটারদের ন্যূনতম সুযোগ সুবিধা, ভিন্নভাবে সক্ষমদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাপনা ছাড়াও ভোটগ্রহণকেন্দ্রে যারা সমস্যা তৈরী করে, তাদের বিরুদ্ধে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। ভোটারদের আস্থা বাড়াতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় টহল দেওয়া এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করা হয়। অবাধ, শান্তিপূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্যভাবে নির্বাচন পরিচালনা করার ক্ষেত্রে কমিশন পর্যবেক্ষকদের সবসময় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।